শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
২১৭

কেশবপুরের কালু মিয়া, দাম ১৬ লাখ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২  

এবার কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে এসেছে যশোরের কেশবপুরের বিশালাকার কালু মিয়া। চার বছরেই এ গরুটির ওজন হয়েছে প্রায় ৪৫ মণ। কেশবপুরের মেহেরপুর গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান ছোট্ট একটি টালির চালাঘরে কালু মিয়াকে পরম যত্নে লালন পালন করছেন। গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। বিশালাকার এ কালু মিয়াকে দেখতে প্রতিদিন ভীড় করছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

কালু মিয়াকে প্রতিদিন ৪ বেলা খাওয়ানো হয়। খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিচালি, খৈল, ভূষি, ভুট্টা ও ঘাস। গরুটির শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এর পাশাপাশি খাওয়ানো হয় পাকা কলা, লেবু, আপেল, বাদাম ও পাউরুটি।

সাতক্ষীরা থেকে কিনে আনা কালু মিয়াকে চার বছরের মধ্যে কখনো দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়নি। নিজের ইচ্ছামতো গরুটি টালুর গোয়াল ঘরে ঘোরাফেরা করেই বেড়ে উঠেছে।

কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, তার মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পলি খাতুন কালু মিয়াকে (গরুটিকে) দেখাশোনা ও লালন পালন করে। তাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কখনো প্লোট্টি জাতীয় খাদ্য খাওয়ানো হয়নি। এ কারণে চার বছরের ভেতরে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পড়েনি। গোয়ালের পাশে বাইরের কোন লোক এলে কালু মিয়া বিভিন্নভাবে শব্দ করতে থাকে। তখন পরিবারের লোকজন ঘরের বাইরে বের হলে সে শান্ত হয়ে যায়।

আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গরুটির দাম হাঁকা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। কালু মিয়াকে যিনি কিনবেন তাঁকে পুরস্কার হিসেবে একটি মোটরসাইকেল দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পলি খাতুন জানায়, কালু মিয়াকে পরম আদর-যত্নের মধ্য দিয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটি বিশালাকার হলেও খুবই শান্ত।

গরু দেখতে আসা কেশবপুর পৌরসভার আলতাপোল এলাকার শেখ শাহীনুর ইসলাম বলেন, এবার কেশবপুরে কৃষক আজিজুর রহমানের পোষা কালু মিয়াই আকারে অনেক বড়। গরুটি শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় দেখে খুবই ভালো লেগেছে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর