বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
২৬ দিনের ছুটি পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ভায়াডাক্ট স্থাপন শুরু চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন
২৮৫

যশোরে ঋণের কিস্তির টাকা স্থগিতের দাবি গ্রাহকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিম্ন আয়ের মানুষদের আয় আরো কমে যাচ্ছে। নিয়মিত ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তাই এ সংকটকালে দুই-তিন সপ্তাহের কিস্তির টাকা আদায় স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন যশোরের নিম্ন আয়ের গ্রাহকরা।

জানা গেছে, যশোর জেলার ১০৪টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। এছাড়া রাজধানী বা অন্যান্য শহরের প্রতিষ্ঠিত সংস্থার যশোরে ক্রেডিট প্রোগ্রাম রয়েছে।

এসব সংস্থার মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকে দেড় লাখ, আশার প্রায় দেড় লাখ, ব্রাকের প্রায় এক লাখসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় নিম্ন আয়ের তিন লাখ গ্রাহক রয়েছে। এ সংকটকালে প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তারা।

আদ্ব-দ্বীনের ঋণগ্রাহক তাসলিমা খাতুন জানান, ‘করোনার কারণে আমার স্বামী শহরে গিয়ে রিকশা চালাতে পারছে না। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সংসারে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে কিস্তির টাকা দেব কীভাবে।’

এদিকে টাকা না দিলে সংস্থার মাঠকর্মীরা অকথ্য ভাষায় গালি দেয় বলে অভিযোগ তার।

এ বিষয়ে আশার গ্রাহক মণিরামপুরের নিলুফার ইয়াসমিন জানান, ‘কাজ কর্ম একেবারে বন্ধ। আমি ও আমার স্বামী কেউ কাজে যেতে পারছি না। একটি ছাগল ছিল তা দিয়ে দুই সপ্তাহের কিস্তি দিয়েছি। পরের কিস্তি কীভাবে দেব বুঝতে পারছি না।’

ব্যুরো বাংলাদেশের গ্রাহক রনজিতা পারভীন জানান, ‘কাজকর্মে যেতে পারছি না। তাই সুদে টাকা এনে এক সপ্তাহের কিস্তি দিয়েছি। আগামী সপ্তাহ কীভাবে টাকা দেব বুঝতে পারছি না।’

নুপুর খানম নামে এক গ্রাহক জানান, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে কিস্তির টাকা কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যশোরে তা করা হয়নি। অথচ করোনার কারণে সব কাজ কর্ম বন্ধ রয়েছে। আপদকালে তাদেরও কিস্তির টাকা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর