শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৫৫

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদন্তে বেরিয়ে আসছে দুর্নীতির তথ্য

শার্শা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৩২ জন কর্মকর্তা- কর্মচারীদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগের ৩ দফা তদন্ত শেষ হওয়ার পরই বেরিয়ে এসেছে আরো একটি দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী এখানে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ‍্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরনের ষ্টীম রোলার চালিয়েছেন। সেই সাথে একের পর এক অসংখ্য দুর্নীতি করেছেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চোখের সামনে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেও চাকরী চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সাহস নিয়ে সবাই মিলে প্রতিবাদ করলে দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে গেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

যশোরের এনজিও "হিডো" সুমাইয়া আক্তার, সাবিকুন্নাহার, খুশি, সম্রাট, সোহেলী আক্তার রিতু ও মিরা এই ৬ জন সদস্য নিয়োগ দিয়ে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী ৫ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ এবং সোহেলী আক্তার রিতুর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

এই ৬ জনের প্রত্যকের মাসিক বেতন ৮ হাজার টাকা উল্লেখ থাকলেও তাদের বেতন দেয়া হয় ৬ হাজার টাকা। সুমাইয়া আক্তার ও খুশি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীকে টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ডাক্তার ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

রোববার যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তদন্ত টিম শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন করেন।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ডা. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে নতুন করে অসৎউপায়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করেছি। আমরা রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিবো। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ সময় যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তদন্ত টিমের সভাপতি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনা নেওয়াজ ও অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ওয়াহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর