বুধবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ১১ ১৪৩০   ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
১৪৬৮

কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সবজি চাষীদের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ জেলা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে শাক সবজির বিরাট ফলন হয়েছে। এই তিন জেলায় চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ভালো পাওয়ায় চাষির মুখে খুশির ঝিলিক মিলছে।

এ মৌসুমে এই তিন জেলায় ২১ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন সবজি। 

আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়।এ আবাদ চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

কুষ্টিয়া জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে । এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬১১ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন।

মেহেরপুর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।

এলাকার একাধিক সবজি চাষি জানান, বিষা প্রতি জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে তাদের খরচ হয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। একবিঘা জমিতে তারা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০হাজার টাকার সবজি বিক্রি করে থাকেন।

বাজার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে এক কেজি বেগুন ৫০ টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ২৫টাকা, কুসি প্রতিকেজি ২৫টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ২৫-৩০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ৫০-৬০টাকা, বরবটি শিম প্রতিকেজি ৩৫-৪০টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ২০ টাকা, ঝিঙ্গে প্রতিকেজি ৩০টাকা, উচ্ছে প্রতিকেজি ৫০টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৩৫টাকা, ক্ষিরাই প্রতিকেজি ৫০টাকা, পটল প্রতিকেজি ৩০টাকা, কচু সাইজভেদে ২০-২০টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০টাকা এবং লাউ সাইজভেদে ৩০টাকা থেকে ৩৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জানান, এখানকার উৎপাদিত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর