কেশবপুরের কুটিরশিল্প গ্রাম, মাসে বেচাকেনা ১০ কোটি টাকা
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২২

গ্রামের মাঝখান দিয়ে হেঁটে যেতেই কানে ভেসে আসে খুটখুট শব্দ। বুঝতে বাকি নেই যে প্রতিটি বাড়িই একেকটি কারখানা। এসব কারখানায় ঘূর্ণমান কাঠের টুকরায় বাটালির ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে বাহারি ফুলদানি, মোমদানি, কলমদানি, পাউডার কেস, খুনতি, হামাম, কিংবা রুটি বেলার বেলন।
যশোরের কেশবপুরের আলতাপোল, কন্দর্পপুর, বড়েঙ্গা ও মঙ্গলকোটকে বলা হয় কুটিরশিল্পের গ্রাম। উপজেলার এ চারটি গ্রামের ৫০০ পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে কাঠের শিল্পের ছোঁয়ায়। আর কুটিরশিল্পের এসব জিনিস থেকে চার গ্রামে বেচাকেনা হয় প্রায় ১০ কোটি টাকার।
কুটিরশিল্পের মালিকরা বলছেন, এক যুগ আগেও গ্রামগুলোর অনেক মানুষ কাজের অভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খেত। এখন তারাই সারা দিন থাকে কর্মমুখর। নিজেদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পাশাপাশি গ্রামগুলোতেও এসেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও সমৃদ্ধ হতে পারবেন বলে আশা করছেন শিল্পীরা।
জানা যায়, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের ইনসার আলী ভারত থেকে শিখে এসে কাঠের কাজ শুরু করেন। অল্প দিনেই সফলতার মুখ দেখেন তিনি। তার তার সাফল্যে উদ্ধুদ্ধ হয়ে এ কাজে যুক্ত হন আলতাপোল, কন্দর্পপুর, বড়েঙ্গা ও মঙ্গলকোটসহ আশপাশের গ্রামগুলোর অনেকেই।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের আওতায় এ চারটি গ্রামকে ‘শিল্পপল্লি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাদের ভাষ্য, বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় কেশবপুরের এ কুটিরশিল্প এখন চারটি গ্রাম ছাড়াও ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের গ্রামেও। প্রতি পরিবারের নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুরাও এখন কাঠের শিল্পে পারদর্শী। নারীরা নিয়মিত এ কাজে যুক্ত হওয়ায় আয় বেড়েছে পরিবারের। বর্তমানে কেশবপুরের ওই চার গ্রামেই রয়েছে এ রকম অন্তত ৪০০ কারখানা। এসব কারখানায় মালিক-শ্রমিক ও কাঠ ব্যবসায়ী মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন।
আলতাপোল গ্রামের বাসিন্দা কারখানার মালিক সাধন কুমার রায় বলেন, এক যুগ আগেও অন্যের জমিতে কামলা খাটতেন তিনি। গ্রামের ইনসার আলীর দেখাদেখি শুরু করেন কাঠের ব্যবসা। নিজের বাড়িতেই একটি কারখানা স্থাপন করেন। পরে মেহগনি কাঠ থেকে মোমদানি, ফুলদানি, কলমদানি, বাটি, পাউডার কেস, বয়াম, ডিম সেট, আপেল সেট, খুনতি, হামাম, পিঁড়ি, মেয়েদের চুড়ি রাখার আলনা, হারিকেন, পেনসিল, অ্যাশট্রে, সিদুর বক্স, ধামাপাতি, খয়েরদানি, টিফিন বক্সসহ নানা ধরনের শোপিস তৈরি করতে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে স্থানীয় বাজারে এগুলো বিক্রি শুরু করলেও পরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ডার আসতে শুরু করে। বর্তমানে তার কারখানায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তার ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বেচাকেনা হয় বলে জানান তিনি।
উজ্জল কুমার দাস নামে এক শ্রমিক বলেন, মূলত এসব জিনিসপত্র তৈরির উপাদান মেহগনিকাঠ। প্রথমে আমাদের মহাজন স-মিল থেকে কাঠ কেটে নিয়ে আসেন। কাঠ কেটে কাঠের ছাল ওঠানো হয়। সেখান থেকে কাঠগুলো শুকানো হয় দুই থেকে তিন দিন। তারপর কারখানা এনে বিদ্যুচ্চালিত মটরের চাকায় লাগিয়ে ঘূর্ণমান কাঠের টুকরোতে বাটালির ছোঁয়ায় তৈরি করি নানা রকমের পণ্য। পরে রং করে রোদে শুকায়ে মহাজনের কাছে বুঝিয়ে দিই। মহাজন আমাদের পিস হিসেবেই মজুরি দেয়।
ভাই ভাই কুটিরশিল্পের শ্রমিক তন্ময় রায় বলেন, প্রতিদিন ভোর থেকে কাজ শুরু করি। দুপুরে ঘণ্টাখানেকের একটা বিরতি দিয়ে কাজ শেষ করি সন্ধ্যায়। আট ইঞ্চি হামাম বানালে আমাদের মজুরি দেয় ৩০ টাকা, ৪ ইঞ্চি বানালে ৪ টাকা, ৭ ইঞ্চ বানালে ১৫ টাকা করে দেয়। সব মিলিয়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি ওঠে বলে জানান তিনি।
প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি তৈজসপত্র তৈরি করতে পারেন শ্রমিক সফিউল। তিনি জানান, গড়ে দিনে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তাদের। এ কাজ করে ভালোভাবেই সংসার চলছে তাদের।
কাঠশিল্পী কামরুল ইসলাম জানান, কেশবপুরে এ রকম চার শতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে বাড়িতে বাড়িতে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ কাজে যুক্ত রয়েছে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ। কেশবপুরের গ্রামে তৈরি এসব কাঠের সামগ্রী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। পাইকাররা বাড়ি এসেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ভাই ভাই কুঠির শিল্পের স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন জানান, বেশ আগে থেকেই এ কাজ শুরু হলেও এর ব্যাপকতা লাভ করে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ-সংযোগ আসার পর। তার অধীনে অর্ধশতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। অনেক শ্রমিক মাসিক বেতনে কাজ করলেও অনেকে কাজ হিসেবে টাকা নিয়ে থাকেন। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে অর্ধলক্ষাধিক টাকা লাভ থাকে তার।
নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কেশবপুরে উপজেলার চারটি গ্রামের পাঁচ শ’পরিবার এই কুঠির শিল্প করেছে স্বাবলম্বী। কুঠির শিল্পের এসকল জিনিসপত্র কেনাবেচায় মাসে প্রায় ১০ কোটি টাকা লেনদেন হয় গ্রাম চারটিতে। একসময় গ্রামগুলোর অনেক মানুষ কাজের অভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খেত। চার গ্রামে এখন কেউ বেকার বসে থাকে না। সবাই কোনো না কোনোভাবে এ কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। দিন-রাত এসব কারখানায় কাজ হয়। অনেক নারী শ্রমিকও কাজ করছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাদের তৈরি কাঠের পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। এতে এ শিল্প আরও ব্যাপকতা লাভ করবে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, বংশপরম্পরায় এতগুলো পরিবার এই পেশায় জড়িত। গ্রামগুলোকে একেকটি কারখানা মনে হয়। ইতিমধ্যে বিআরডিবির পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের আওতায় গ্রামগুলোকে শিল্পপল্লি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণ, ঋণদান কর্মসূচিসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে অর্থসহায়তা, প্রশিক্ষণ ও বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকে পাবেন পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসহায়তা।

- করোনা নিয়ন্ত্রণ `বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা জানতে চায় বিশ্ব
- চৌগাছায় নিবন্ধনবিহীন ৬০ মোটরসাইকেল জব্দ
- বোয়ালমারীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- পদ্মা সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মাশরাফির কৃতজ্ঞতা
- চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন
- মেহেরপুর উপজেলা পরিষদে হুইল চেয়ার বিতরণ
- আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই
- ত্বকের উজ্জ্বলতায় চমকে দিন রাতের ছোট্ট পরিশ্রমে
- আরো এক অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- কোন বয়সে শারীরিক সম্পর্ক কতটা উপভোগ্য, জানালো সমীক্ষা
- রিকশার প্যাডেলে শতবর্ষী রণজিতের জীবনসংগ্রাম
- সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই তৈরি করুন কাসুন্দি
- মেহেরপুরে বারি-৪ জাতের বেগুন চাষে সম্ভাবনা
- ঝিনাইদহ পৌরসভা ও দুই ইউনিয়নে ১৯১ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
- বোয়ালমারীতে আনসার ভিডিপি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- তীব্র গরমে ফরিদপুরে বাড়ছে তালের শাঁসের চাহিদা
- মেহেরপুরে কাঁঠালের বাম্পার ফলন, পৃষ্ঠপোষকতা চান চাষিরা
- যশোরসহ আট জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ
- গরমে মাথায় ঘাম বসে চুল ঝরছে? রইল সমাধান
- এবার বেআইনি অর্থ লেনদেনে অভিযুক্ত শিল্পার স্বামী
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে এড়িয়ে চলুন তিন খাবার
- আইপিএল ছাড়লেন উইলিয়ামসন
- ইউক্রেনে নতুন প্রজন্মের লেজার অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া
- মুখের ভেতর জ্বালাপোড়া হলে কী করবেন?
- বিষয়টা নিয়া বলতেছি কারণ এখানে আমার মেয়ে জড়িত: ফারুকী
- বিয়ের দিন প্রত্যেক কনের মাথায় যে পাঁচ চিন্তা আসে
- ঈদ শেষ, আন্দোলনে অনীহা বিএনপি নেতাদের
- বিশ্বকাপের কাজে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে আগ্রহী কাতার
- লবণ খেয়েই কমবে ওজন, জানুন পদ্ধতি
- এক জাহাজ পেট্রল কেনার টাকাও নেই শ্রীলংকার
- পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবিতে ঝিনাইদহে কৃষকদের বিক্ষোভ
- বিকাশের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন: ভোক্তা অধিকারে মামলা
- পিলখানা হত্যাযজ্ঞ: ১৩ বছর পরও ডুকরে কাঁদে বাংলাদেশ
- শিশুদেরও কি ডায়াবেটিস হয়?
- তিন দিনের জন্য সাজেক সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
- ই-কমার্স গ্রাহকদের লোভী বললো বিকাশ, ফেরত দেবে না গ্রাহকের টাকা
- ‘পিউর’ সিঙ্গেল প্রভা
- পুরুষের ক্ষমতা থাকলে একাধিক বিয়ে করতে পারে: সুবাহ
- ১৬১২২: ফোনেই মিলবে ভূমির সেবা
- আশরাফুল-নাসিরকে ডাকাই হলো না বিপিএলের নিলামে
- মধ্যরাতে ছাত্রী হোস্টেলে চিতাবাঘের হানা, হতাহত ১৫
- উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খান ৫ ফল
- অশ্লীল ছবি-ভিডিও সরানোর নোটিশের খবরে ‘অসুস্থ’ পরিমনি!
- পাঁচ দিনের হানিমুনে শরীরের যা বেড়ে গেলো মিমের
- যে ছয় কারণে নারীরা বিয়ের স্বপ্ন দেখেন
- আবারো বড়পর্দায় তারিক আনাম খান
- মাস্ক পরলেই উঠে যাচ্ছে লিপস্টিক, জানুন সমাধান
- তনুশ্রীকে পোশাক খুলে নাচতে বলেন পরিচালক!
- বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেল বাংলাদেশ
- সেন্ট মার্টিনে সানি লিওন!

- ব্যস্ত সময় পার করছে যশোরের ফুল চাষিরা
- বাঘারপাড়ায় শোবার ঘর থেকে গোখরা সাপ উদ্ধার
- যশোরে আগাম বাঁধাকপি চাষ
- বাঘারপাড়ায় অবৈধ প্রণয়ে জন্মনেয়া শিশু উদ্ধার, মূল অভিযুক্ত আটক
- যশোরে ‘ড্রিপ ইরিগেশন’ পদ্ধতিতে চাষে সফলতা
- যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে শাবানার স্বামীর প্রার্থীতা ঘোষণা
- বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত যশোরের কৃষক
- যশোরঃ ২
প্রার্থিতা প্রত্যাহার মনিরের, লড়বেন নাসিরের পক্ষে - যশোরে হালকা প্রকৌশল পণ্য উৎপাদনে রেকর্ড
- যশোরে বৃদ্ধদের কান ধরে ওঠবস করানো সেই এসিল্যান্ড প্রত্যাহার
- যশোরের নকশী কাঁথা
- প্রধানমন্ত্রীর নামে গরু কোরবানি দেবেন কৃষক
- কুল চাষ করে সফল কৃষক মোশারফ
- যশোর ২ আসনে বিএনপি-জামায়াত দ্বন্দ্ব
- `অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্রদল কর্মী`