কেশবপুরে আলোচিত ভ্যানচালক হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন

যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলোচিত কিশোর ভ্যানচালক ইদ্রিস আলী (১৪) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। এ সময় আন্তঃজেলা ভ্যান চোরচক্রের ৬ সদস্যসহ পাঁচটি চোরাই ভ্যান উদ্ধার করা হয়।

গত বুধবার (১৭ মার্চ) যশোর শহরে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- কেশবপুরের কন্দপপুর গ্রামের তকোববার মোড়লের ছেলে নাজমুল ইসলাম ইমরান, দোনার গ্রামের আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা, মণিরামপুরের কাশিপুর মধ্যপাড়ার মৃত আকরাম সরদারের ছেলে সাহিদুল ইসলাম সাইদুর, আব্দুল কাদের সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, নড়াইলের রামচন্দ্রপুর পূর্বপাড়ার জয়নাল মোল্লার ছেলে আবতাব মোল্লা ও মণিরামপুরের তাহেরপুর গ্রামের মৃত মোমিন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুর রশিদ।

ডিবি পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আন্তঃজেলা ভ্যান চোরচক্রের সদস্যদের ধরতে গিয়ে ইদ্রিস আলী হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি চোরাই ভ্যান। চোর চক্রটি ভ্যান চালককে অপহরণ, হত্যা ও আরও অনেকগুলি ভ্যান চুরির তথ্য দিয়েছে। এছাড়া ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা ভ্যানচালক ইদ্রিস আলীকে ভাড়া করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘটনাস্থলে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ গুম করে ও ব্যবহৃত ভ্যান গাড়িটি নিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় আটককৃতদের হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে যশোর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদেরকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ জানুয়ারি সকালে কেশবপুরের মঙ্গলকোট এলাকা থেকে ইদ্রিস আলী (১৪) নামের এক ব্যাটারি চালিত ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করে কেশবপুর থানা পুলিশ। তিনি শ্রিফলা গ্রামের সাহাবুদ্দিনের ছেলে। তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করে ভ্যান, মোবাইল, টাকা ছিনতাই করে চোরচক্রের সদস্যরা। এই বিষয়ে নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।