শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৩৭

চৌগাছায় কাজু বাদাম চাষে সফলতার স্বপ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩  

কাজু বাদাম একটি দারুণ সম্ভাবনাময় ও অর্থকরী ফসল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৃক্ষ জাতীয় ফলের মধ্যে এর স্থান তৃতীয় আর বাদাম জাতীয় ফসলে প্রথম স্থানে রয়েছে। পুষ্টি গুণাগুণের বিবেচনায় এ বাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। পাহাড়ী অঞ্চলের বৃক্ষ জাতীয় ফসল চৌগাছায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ব্যাপক সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। আগামীতে এই ফসলটি হতে পারে উপজেলার অন্যতম লাভজন চাষ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের চেষ্টায় এক বছরে সার ও কীটনাশকবিহীন পাহাড়ী অঞ্চলের অর্থকরী ফসল কাজুবাদাম চৌগাছার সমতলভূমিতে উৎপাদন হচ্ছে।
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের যুবক মাহাবুবর রহমান খেতের নিরাপত্তা বেড়া হিসেবে চাষ করেন। সেখানে সফলতা দেখে তিনি মূল ফসল হিসেবে চাষ করার উৎসাহ পান। তিনি এবছরে বাণিজ্যিকভাবে কুজু বাদাম চাষ করবেন বলে জানান।

উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে ‘সমতলভূমিতে কাজুবাদাম ও কফি চাষ’ প্রকল্পের আওতায় কাজুবাদাম চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। যে কারনে এখন ব্যাপক ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে কৃষকদের কাজুবাদাম চাষে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

চাষী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, গাছগুলোর বয়স দুই বছর হয়েছে। দুই বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিস পরীক্ষামূলকভাবে তাকে বিনামূল্যে গাছগুলো দেয়। বর্তমানে তার খেতে ৩৩টি কাজুবাদাম গাছ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি গাছেই ফুল ও ফল এসেছে। এর মধ্যে কয়েকটি গাছে ফল এসেছে যা ৫ থেকে ৬ কেজি বাদাম হবে বলে আশা করছেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭/৮ হাজার টাকা।  

মাহবুবুর রহমান জানান, কাজুবাদাম চাষে তার অতিরিক্ত কোনো সার, পানি বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন জানান, কাজুবাদাম মূলত পাহাড়ী ফসল। ‘সমতলভূমিতে কাজুবাদাম ও কফি চাষ’ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দুইজন চাষীকে গাছ দেয়া হয় ২০২১ সালের আগস্ট মাসে। এরপর বিপুল বৃষ্টিপাতে গাছগুলো নষ্ঠ হয়ে যায়। পরে উপজেলা কৃষি অফিসে থাকা মাহাবুবুর রহমানকে ৩০ টি কাজুবাদামের চারা দেয়া হয়। তিনি নিজের দুই বিঘা পেয়ারা বাগানের চারপাশে নিরাপত্তা বেড়া হিসেবে গাছগুলো রোপণ করেন। গাছগুলোতে গত বছরই ফুল আসে। তবে চলতি মৌসুমে বেশ কয়েকটি গাছে ফল এসেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুবাশ্বির হুসাইন বলেন, পাহাড়ী ফসল কাজুবাদাম সমতলভূমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালে যশোরের চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলায় কাজুবাদামের গাছ প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হয়। এতেই সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, এটি বেশ লাভজনক ফসল। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হলে এটি স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে রফতানি করা যেতে পারে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর