সোমবার   ০২ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৬ ১৪৩০   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
যশোরে আমনের সবুজ ধানক্ষেতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা চৌগাছায় পেঁয়াজ বীজ পেলেন ১৭০ কৃষক রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
১৭২২

ঝিনাইদহে অন্যান্য ফলের সঙ্গে শুরু হয়েছে শরিফা ফলের চাষ

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

ড্রাগন, লিচু, পেয়ারার পর এবার ফলের বাগানে নতুন অতিথি শরিফা। ভিয়েতনামের এ ফলটি খুবই সুস্বাদু এবং এ ফলের চাষ বেশ লাভজনক। ড্রাগন, লিচু ও পেয়ারা চাষে আশানুরূপ সফলতা আসায় প্রতিনিয়ত চাষের জমি ও নতুন নতুন ফলের চাষ বৃদ্ধি করে চলেছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের শিবনগরের বাসিন্দা বিভিন্ন ফলের চাষী সুরত আলী।

ড্রাগন চাষে ভালো মুনাফা পাওয়ায় এবছর ১২ বিঘা থেকে বাড়িয়ে ১৭ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেছেন। অন্যান্য ফলের চাষের জমি বৃদ্ধি না করলেও এ বছরে নতুন ফল শরিফার চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে ৫০ শতক জমিতে চাষ শুরু করলেও টার্গেট ৩ একর। এ ছাড়া আড়াই বিঘা জমিতে চায়না কমলার চারাও লাগিয়েছেন। নতুন এ দু’টি ফল ড্রাগন চাষ থেকেও লাভজনক হবে বলে আশা করছেন সুরত আলী।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার শিবনগর দাস পাড়ার মাঠে এ কৃষি ফার্মটির অবস্থান। ফার্মে ড্রাগন, আম, লিচু, পেয়ারা খেজুর, লটকন, নারিকেল, রামবোতান প্রভৃতি ফলের বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ৫ প্রকারের ড্রাগনসহ হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, মোজাফফর লিচু, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আনা টিস্যু কালচার খোরমা খেজুর, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন প্রকার পেয়ারা, সিডলেস পেয়ারা ও টিস্যু কালচার নারিকেল গাছ।

সুরত আলী জানান, বিদেশি এ ধরনের ফসল চাষে সময় লাগে বেশি এবং খরচ হয় বেশি । এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই চাষ শুরু করলেও গাছে ফল আসতে শুরু করায় এখন তিনি আশাবাদী । তিনি জানান, ভিন্নধর্মী এ জাতীয় ফসলের চাষ শুরু করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তারই ভাগ্নে কৃষিবিদ ড.রুস্তম আলী। রুস্তম আলীর আর্থিক সহযোগিতা ও কৃষি পরামর্শে তার এ ফার্ম একটি লাভজনক ফার্মে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো জানান, তার ভাগ্নে কৃষিবীদ ড.রুস্তম আলী ঢাকার একটি নার্সারী থেকে বিদেশি জাতের এ ফলের চারা তাকে সরবরাহ করেছেন। ব্যাতিক্রমি এ ফলের চাষ সম্পর্কিত সকল প্রকারের সহযোগিতা (আর্থিকসহ) ও পরামর্শ তিনিই দিচ্ছেন।

তারই পরামর্শে এ বছরে ৫০ শতক জমিতে ভিয়েতনামের ফল শরিফা চাষ শুরু করেছেন। ৩ একর জমিতে এ ফলের চাষ করার ইচ্ছা আছে তার। তিনি জানান এ ফলের গাছ একবার লাগালে আজীবন ফল পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় ১০০টি চারা লাগানো যায়। প্রতিটি চারা ৮০০ টাকা দরে ক্রয় করছেন। গাছ লাগানোর ২ বছর পরেই ফল পাওয়া যাবে। বছরের মে থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এ ফল সংগ্রহ করা যায়। এক একটি ফল প্রায় ৪’শ থেকে ৫’শ গ্রাম ওজন হয়। একটি পরিণত গাছ থেকে বছরে ৮০ থেকে ১০০ কেজি ফল পাওয়া যাবে। শরিফা ফলের বর্তমান বাজার দর ৪০০ থেকে ৫০০টাকা। ঢাকার বাজারেও এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল করিম জানান, কালীগঞ্জে ফল চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি জানান কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস ফল চাষীদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে এবং নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর