সোমবার   ০২ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৬ ১৪৩০   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
যশোরে আমনের সবুজ ধানক্ষেতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা চৌগাছায় পেঁয়াজ বীজ পেলেন ১৭০ কৃষক রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
৩১১২

তুরানের কবুতর খামার

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

 

কবুতর পালন করে অর্থনৈতিক সফলতার অর্জন খুব কম হলেও সফল নাবিদ হাসান তুরান নামে এক যুবক। তুরানের এ কবুতর পালন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিদের উদ্বুদ্ধ করেছে।


মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাশোঁ গ্রামের মো. আজিজার মোল্যার ছেলে তুরান। নিজ বাড়ির ছাদে খুব সুন্দর পরিবেশে গড়ে তুলেছেন কবুতর খামারটি। প্রচার বিমুখ হবার কারণে সাফল্যের খবরটি সংবাদ মাধ্যমে আসেনি। তাকে দেখে এ অঞ্চলের তরুন প্রজন্ম ক্রমেই কবুতর পালনে ঝুঁকছে।

তিন জোড়া কবুতর দিয়ে এ যাত্রা শুরু করে তুরান। ইন্টারনেটে বিদেশি বিভিন্ন জাতের কবুতরের ছবি দেখে কবুতর পালনে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তবে প্রথমে শুধু মাত্র শখের বশেই কবুতর পালন শুরু করেছে বলে জানায় এ যুবক। কবুতর খামারটি স্থাপনে এখন প্রতি বছরে তিনি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন।

তুরানের কবুতর খামারটি ঘুরে দেখা গেছে, আলাদা আলাদা খাঁচায় পালনরত বিভিন্ন দেশি বিদেশি উন্নত জাতের রঙ বেরঙের কবুতর গুলোকে খাবার সরবরাহে ব্যস্ত রয়েছে খামারি তুরান। দেশি বিদেশি কবুতরের মধ্যে ফ্রিলবাক, সিরাজি, নরেশ, কোপার, পুটার, বসিয়ানি, ট্যামলার, হলুদ, শিখর ক্যারিয়ার, হোমা সাদা, সো কিং লাল, সো কিং সাদা, মুন্ডিয়ান চকলেট, টেইলমারক হলুদ, টেইলমারক কালো, বোখারা, সারটিন, কাগজি, গ্রিবাজ, টেগোরোলা হলুদ, মুক্ষি জ্যাকোবিন, ক্রীমবারসহ বিভিন্ন রংয়ের বিভিন্ন জাতের ৩৫ জোড়া কবুতর রয়েছে তুরানের এ খামারটিতে। এছাড়াও সময় প্রাপ্তি সাপেক্ষে উন্নত জাতের কবুতর সংগ্রহ করা হয়ে থাকে বলেও জানান তুরান।

এ কবুতর পালনে তার পরিবার তাকে সহযোগিতা করেন। বিভিন্ন সময় রোগবালাই বেড়ে গেলে কবুতর পালন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সে সময় খাবার ও ওষুধের দিকে বেশ নজর রাখতে হয়। খাবারের মধ্যে-সুর্য্যমুখির ফল, গম, ভুট্টা, কালাই, বাজারী প্রভৃতি।

তুরান বলেন, তার খামারে ৩৫ প্রজাতির কবুতর রয়েছে। খাবার ঔষুধ এবং অন্য খরচসহ কবুতরের জন্য প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ব্যয় হয় । প্রতি মাসেই দু এক জোড়া নতুন বাচ্চা দেয়। আর প্রতি বছর ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার কবুতর বিক্রি হয়।

তার মতে কবুতরের খামার একটি লাভজনক ব্যবসা। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্শার্থীরা শখ পূরণ ও আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এই কবুতর পালন শুরু করতে পারেন। তিনি বেকারত্ব দূর করার জন্য অনেক শিক্ষিত যুবককে কবুতরের খামার করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
 

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর