সোমবার   ০২ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৬ ১৪৩০   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
যশোরে আমনের সবুজ ধানক্ষেতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা চৌগাছায় পেঁয়াজ বীজ পেলেন ১৭০ কৃষক রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
৪৭

পরীক্ষার্থী মালয়েশিয়ায়, তার প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৩  

যশোরের চৌগাছায় আলী রেজা নামে এক প্রবাসীর হয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষায় দিতে গিয়ে সুমন হোসেন (১৯) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে চৌগাছা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

আলী রেজা চৌগাছার তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের কারিগরি শাখার পরীক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়া রয়েছেন। আটক সুমন আগেই এইচএসসি পাস করেছেন। বর্তমানে পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। রেজা ও সুমন উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের বড়কাবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পরে আটক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮০ এর ৩ ধারায় চৌগাছা থানায় মামলা করেছেন চৌগাছা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম কবীর। 

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘রোববার পরীক্ষা শুরুর পর একজন প্রবাসীর হয়ে অন্য একজন প্রক্সি দিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কেন্দ্র সচিবকে প্রবেশপত্র চেক করতে বলা হয়। এতে ধরা পড়ে একজন প্রবাসীর হয়ে সুমন নামে অন্য একজন পরীক্ষা দিচ্ছে। পরে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮০ এর ৩ ধারায় তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য। 

ইউএনও আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবক জানায়, ‘তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের বিএম শাখার শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান তাকে ভাড়া করে এনেছিলো।’ 

কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম কবীর বলেন, সকালে পরীক্ষা শুরুর পর তাকে খাতাও দেওয়া হয়। পরে প্রবেশপত্র যাচাই করলে ছবির সঙ্গে তার চেহারা মেলেনি। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে আলী রেজা নামে অন্য একজনের হয়ে সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় তরিকুল ইসলাম কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান তাকে আলী তাকে রেজার হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঠিক করেছে। 

তবে তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মুঞ্জুরুল ইসলাম লিটু বলেন, এর দায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের। আমি শুনেছি পরীক্ষা শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ওই ছেলেটি পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। অথচ পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর আর কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করার কথা নয়।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর