শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৪৮

প্রণোদনায় দেয়া ধানের বীজে ভেজালের অভিযোগ, বিপাকে কৃষক

অভয়নগর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৩  

যশোরের অভয়নগরে কৃষি অফিসের দেওয়া প্রণোদনার বীজে তিন ধরনের ধান হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। বীজে ভেজাল থাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে কৃষকদের দাবি। এই ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। রোববার (৭ মে) তারা এই আবেদন করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের মধ্যপুর গ্রামের কৃষকদের মাঝে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর প্রণোদনার আওতায় বোরো ধানের বীজ ও সার দেয়। প্রাপ্ত বীজ রোপণের পর কৃষকরা যথাযথ পরিচর্যাও করেন। বর্তমানে ওই ধানের বীজ থেকে কিছু ফসল পাকতে শুরু করেছে। আবার একই বয়সী কিছু ফসলে ধানের দানা তৈরি হচ্ছে এবং কিছু গাছে ফুল এসেছে। যে কারণে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

রোববার বিকেলে মধ্যপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গোলাম সরোয়ার বলেন, দুই বিঘা জমিতে প্রণোদনার ধান বীজ রোপণ করেছিলাম। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ভালো ফলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ক্ষেতের ধানে তিন অবস্থা। কিছু ধান পাকা শুরু হয়েছে, কিছুতে দানা এসেছে, আবার কিছু ধান কেবল বের হচ্ছে। জমির ইজারা খরচ, কৃষি শ্রমিকের মজুরি, ফসল রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্তত ৬০ হাজার খরচ হয়েছে। ভেজাল বীজের কারণে চরম ক্ষতি হয়েছে।

কৃষক সামছুর মল্লিক, নজরুল ইসলাম, মিঠু মোল্যাসহ ক্ষতিগ্রস্ত অন্য কৃষকরা জানান, মধ্যপুর গ্রামে পাশাপাশি ১২ জন কৃষকের প্রায় ১২ বিঘা জমির ধানে একই অবস্থা হয়েছে। তাদের প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পোষাতে ক্ষতিপূরণ ও কৃষি অফিসের এ ধরনের বীজ দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, লিখিত আবেদন পাওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে কৃষি কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, কৃষি অফিসের প্রণোদনার ধানের বীজে ভেজালের অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। সত্যতা প্রমাণিত হলে দায়ভার কৃষি কর্মকর্তাকে নিতে হবে। কৃষকের বিরুদ্ধে কোনো জুলুম বরদাশত করা হবে না।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর