প্রধানমন্ত্রীর বার্তা সব বদলে দিতে পারে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টানা তৃতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি ১৯৯৬, ২০০১ সময়েও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সুতরাং এই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুড়িতে অনেক জানাশোনা ও বোঝার বিষয় রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি নিজেকে একজন সৃজনশীল রাজনৈতিক নেতা থেকে রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করেছেন।
এটি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই আশীর্বাদের বিষয় হয়েছে। কেন-না, আমরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু, চার জাতীয় নেতাসহ দীর্ঘকালের পোড় খাওয়া এমন কিছু নেতাকে হারিয়েছি, যাদের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কেউ ছিলেন না। তাদের অনুপস্থিতিতে দেশের রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে আদর্শচ্যুত হয়েছে।
রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি ভীষণভাবে কঠিন হয়ে উঠেছে। ফলে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বঙ্গবন্ধু এবং তার সহযোগীদের সমকক্ষ কাউকেই খুঁজে পায়নি। ফলে দেশটা শুধু রাজনৈতিকভাবেই নানা সংকটে পড়েনি, আর্থসামাজিক, শিক্ষা-সাংস্কৃতিকসহ সামগ্রিকভাবে ভয়ানকভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। পৃথিবীতে আমরা দরিদ্রতম একটি দেশের অমর্যাদাকর স্থানে অবস্থান করছিলাম। আমাদের দেশে অনেকেই সরকার গঠন করেছেন, আবার রাজনীতিবিদ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু এদের বেশিরভাগই রাজনীতির প্রক্রিয়ায় গঠিত হননি। দেশ ও রাষ্ট্র নির্মাণে আধুনিক চিন্তাধারার অধিকারী-এটি তারা প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে আমাদের অবস্থা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছিলে।
আমরা কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করতে থাকি ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর। দেশ মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরে আসার সুযোগ পায়। ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ দেখা যায়। দেশে আর্থসামাজিক পরিবর্তনের নীতি-কৌশল বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা গৃহীত হয়। ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে দেশ এগিয়ে চলার প্রমাণ রাখে। এসবই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত প্রথম মেয়াদের সরকারের সাফল্য যা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারা ও আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নে পরিচালিত করার দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত। এরপর দেশ ৮ বছর ভিন্ন চরিত্রের সরকারের ধারা পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কোনো সাফল্য এ সময়ে আসেনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা দিন বদলের সনদ রূপকল্প জাতির সম্মুখে উপস্থাপন করেছিলেন। অনেকেই তার এসব চিন্তাধারা শুরুতে বুঝতে পারেননি।
মনে করেছিলেন, এটিও গতানুগতিক একটি নির্বাচনী ইশতেহার। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় মৌলিক কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হন। টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর শাসন করার সুযোগ পেয়ে শেখ হাসিনা দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার সাফল্য দেখাতে সক্ষম হন। তিনি দেশে বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, মেগা প্রকল্প ইত্যাদি বাস্তবায়ন করে দেশকে এক অভাবনীয় উন্নয়নের ধারায় নিয়ে আসেন, যা দেশি এবং আন্তর্জাতিক সব মহলের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন মর্যাদার আসনে তুলে ধরতে সক্ষম হন। তার অনুসৃত নীতির বদৌলতে আমাদের দারিদ্র্য এখন বিমোচনের পথে। জীবন এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। বাংলাদেশ এত অল্প সময়ে এত অভাবনীয় পরিবর্তনের ধারায় উঠে এসেছে, যার সিংহভাগ কৃতিত্ব সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকেই দিতে হয়।
তিনি আমাদের একজন ভিশনারি-মিশনারি নেতা হিসেবে আস্থার জায়গা করে নিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জনগণের যে সমর্থন পেয়েছেন, তার মূলে রয়েছে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তার যোগ্যতা, দক্ষতা, সততা, দৃঢ়তা এবং স্বপ্নের বাস্তব রূপায়ণের গুণাবলী। নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি যে ইশতেহার দিয়েছেন, সেটিকে নিয়ে এবার আর কারও দ্বিধা নেই। বরং প্রতিশ্রুত বাংলাদেশ গঠনে তার দিকনির্দেশনার ব্যাপারে সচেতন মহল ভীষণভাবে আগ্রহী অবস্থানে রয়েছেন।
নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০ বছরে যে উন্নয়ন ঘটেছিল, তার প্রতি আস্থা রেখেও অনেকের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে হতাশা, দ্বিধাদ্ব›দ্ব কাজ করছিল। দেশে সুশাসনের দাবি সর্বত্র উচ্চারিত হচ্ছিল। ফলে শেখ হাসিনা পরবর্তী মেয়াদে দেশকে সুশাসন দিতে পারবেন কি না, সেটি নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ছিল। বিশেষত রাজনীতিতে দলীয় শৃঙ্খলার অভাব, দুর্নীতি, গ্রুপিং, এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংকিং খাত, ইত্যাদিতে অনাকাক্সিক্ষত নানা বিষয়ের অবতারণা অনেকের মধ্যেই হতাশা ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছিল। বিশেষত নির্বাচনের আগে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও সর্বত্র বিরাজমান ছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় প্রার্থীর সংখ্যা একই আসনে একাধিক হওয়া। এবারও অনেকের মধ্যে ধারণা ছিল, দলটিতে মনোনয়ন নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে, এবং সেটি ঘটলে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নির্বাচনে জয় পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে।
কিন্তু শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রদানের আগে দলের নেতাকর্মীদের সব অনৈক্য ও ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে যে বার্তাটি দেন তা ছিল, যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে, তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এ বার্তাটি বড় ধরনের টনিকের মতো কাজ করেছিল। প্রায় কোনো আসনেই মনোনয়নবঞ্চিতরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে দৃঢ় অবস্থান নেয়নি। অধিকন্তু বেশিরভাগ আসনেই মনোনয়নেচ্ছু, প্রত্যাশী এবং লাভকারীরা মোটামুটি সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থানেই ছিলেন। দলের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করে আনার জন্য একযোগে কাজ করেছিলেন। বোঝাই গেছে, আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় এবার এতটাই ভীত ছিলেন, তার কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করার দুঃসাহস তাদের ছিল না। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা, দৃঢ়তা এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলীর কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। গোটা নির্বাচনে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা আওয়ামী লীগকে বিজয় এনে দিয়েছে।
এখন দল নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করার পর থেকে আগামী পাঁচ বছর শেখ হাসিনার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এটি শেখ হাসিনা ভালোভাবেই বোঝেন, গত ১০ বছরে যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সম্পন্ন হয়েছে তা খুব সহজ বিষয় ছিল না। এখন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং জনগণের প্রত্যাশিত সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা তার জন্য মোটেও কম চ্যালেঞ্জের বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সামনে বেশ কিছু সমস্যা দল, সরকার, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্রসহ সর্বত্র বিরাজ করছে-যেগুলো অতিক্রম করা খুব সহজ হবে না। সে কারণে সরকার গঠনের শুরু থেকেই তাকে এমন কিছু বার্তা দল, সরকার, প্রশাসন ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সব প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া প্রয়োজন, যা তার কাজকে অনেকটাই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহজ করে দিতে পারে। প্রথমেই দলকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে তোলার বার্তা থাকা প্রয়োজন।
কেন না, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একদিকে যেমন ত্যাগী, যোগ্য এবং আদর্শবাদী প্রচুর রয়েছে, অন্যদিকে আদর্শহীন, বিতর্কিত, দুর্নীতিগ্রস্ত, গ্রুপিং ইত্যাদিতে নিমজ্জিত অনেকেই রয়েছেন।
শেষোক্তদের কারণে গত ১০ বছরে অনেক জায়গায় দল বিতর্কিত হয়েছে, জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উপজেলা, জেলা, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনেক নেতাই দলের অভ্যন্তরে নিজের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন, দলের অন্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন। দলীয়প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা এসব বিষয় জানেন। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি দলকে সেভাবে সময় দিতে পারেননি, দলের অন্য নেতারাও একে- অপরের আস্থায় খুব বেশি নেই। ফলে আওয়ামী লীগ যেভাবে আদর্শিক রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেড়ে ওঠার কথা ছিল, সেটি খুব কমই হতে পেরেছে বলে রাজনীতি-সচেতন মহল মনে করে। সে কারণে নতুন এই মেয়াদে আওয়ামী লীগকে সরকার ও প্রশাসন থেকে কীভাবে দূরে রেখে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া যাবে, আওয়ামী লীগের আদর্শ উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠা করা যাবে, সেই নির্দেশনা ও পরিকল্পনার একটি বার্তা থাকা দরকার। তাহলে আওয়ামী লীগের মধ্যে আরও অসংখ্য মেধাবী, সৎ, যোগ্য, দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের নেতাকর্মী তৈরি হতে পারবে, যারা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার আদর্শে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে। দলকে অবশ্যই এখন থেকে মেধাবী, সৎ, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের নির্ভর করার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতেই হবে।
বাংলাদেশে রাজনীতিতে আদর্শের সংকট ও দুর্বলতা নিয়ে সর্বত্র হতাশা রয়েছে। আওয়ামী লীগকে এসবই কাটিয়ে উঠতে হবে। তাহলেই শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন ও সুশাসনের বাংলাদেশ ২০১৯-২৩ মেয়াদে প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে যাচ্ছেন, সেটি বাস্তবে দেখা সম্ভব হতে পারে। অন্যথায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যক্তিস্বার্থের প্রবণতা বেড়েই যাবে, যার ফলে দলটি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হবে। সে ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন পরিকল্পিত উপায়ে বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব নাও হতে পারে।
একইভাবে শেখ হাসিনা তার মন্ত্রী, এমপিসহ পারিষদদের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়ে রাখবেন, যা সবাইকে দুর্নীতিমুক্ত সুশাসনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ গড়ার সহায়ক শক্তিতে পরিণত করবে। কোনো অবস্থাতেই কারও ব্যক্তিগত অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্নীতিপরায়ণতা, উগ্রতা, হঠকারিতা শেখ হাসিনার নীতি, আদর্শ, বাস্তবায়নে বাধা হতে পারবে না। সরকারের প্রশাসন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানাদি, শিক্ষা, বিচার, আইন, আমলাতন্ত্রসহ রাষ্ট্রের সর্বত্র নিয়ম-শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ শুরু থেকেই আপসহীনভাবে চর্চা করতে হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অনাচার কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। অন্যদিকে দেশপ্রেম, মেধা, দক্ষতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সৃজনশীলতা কর্মোদ্যোগ ইত্যাদি সরকারের দিক থেকে প্রশংসিত, সমর্থিত, পৃষ্ঠপোষিত ও পুরস্কৃত হওয়ার বার্তা পাবে। বাংলাদেশে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ও খারাপ ঐতিহ্য রয়েছে। এসবকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ও ক্ষেত্রভিত্তিকভাবে দূর করা সম্ভব হবে, সে সংক্রান্ত চিন্তাভাবনাগুলো কার্যকর করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অনিয়মের আশ্রয় বা প্রশ্রয় কোথাও রাষ্ট্র দেবে না। এটিই নিয়ম হিসেবে বিবেচিত হবে। সমাজের সৎ, মেধাবী, দেশপ্রেমিক এবং আদর্শবাদী মানুষদের উৎসাহিত করে তাদের কাছ থেকে রাষ্ট্র রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রেই যেন সহযোগিতা পায়, সে পরিবেশ তৈরিতে শেখ হাসিনা সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, কালোবাজারি, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের যে কোনো দোদ্যুলমানতা থাকবে না, এটিও স্পষ্ট হওয়া দরকার।
বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সব মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠবেন, সরকার তাদের পাশে থাকবেন, দেশ ও জনগণকে সত্যিকার অর্থে সেবা প্রদান করবেন-এমন পরিবেশই উন্নয়ন ও সুশাসনকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলামিস্ট
[email protected]

- গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি: নিন্দা জানালেন ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিক
- সংসদ নির্বাচনের মহাযজ্ঞ শুরু
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
- ডলার কারসাজির দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানা
- মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে সুখবর
- ৪০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, আর নয়: এরদোগান
- পানি পানের সঠিক সময়
- যে কারণে ‘অ্যানিম্যাল’র পারিশ্রমিক কম নিয়েছেন রণবীর
- বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকবেন মাশরাফী!
- শেষ বিশ্বকাপ যেসব তারকাদের!
- সন্ত্রাসীরা কখনো সফল হতে পারবে না: এরদোগান
- একমুঠো বাদাম খেলে শরীরে যা ঘটে
- বিএনপির মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই: হানিফ
- চলতি মাসেই শুটিংয়ে ফিরছেন পূর্ণিমা
- চলতি মাসেই শুটিংয়ে ফিরছেন পূর্ণিমা
- নোবেল পুরস্কার যেভাবে দেওয়া হয়
- কাকে ‘মীরজাফর’ বললেন সাকিবপত্নী শিশির
- ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে পুলিশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’
- ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে পুলিশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’
- আবারও বিয়ের পিঁড়িতে শাহরুখের নায়িকা মাহিরা খান
- রাজধানীতে হামলার জবাবে যা করল তুরস্ক
- আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
- মেক্সিকোতে ট্রাক উলটে ১০ অভিবাসী নিহত
- শিশুদের মনে বড় হওয়ার সাহস জাগাতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী
- অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে আইফোন ১৫, যা জানাল অ্যাপল
- হোয়াটসঅ্যাপে ‘নীল’ ভেরিফিকেশন চেকমার্ক চালু
- রাঁধুন খাসির মাংসের আখনি পোলাও, দেখুন রেসিপি
- সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১০.৩৭%
- হঠাৎ যে কারণে রেস্তোরাঁয় গেল বাবর বাহিনী
- হোটেলে রুম না পেয়ে অপেক্ষা করলেন পান্ডিয়া
- ফরিদপুরে `দাফনের` পাঁচদিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ
- বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করে ট্রলের শিকার ঋতুপর্ণা
- তামিমকে না নেওয়ার গোপন রহস্য ফাঁস
- এবার সংসার নিয়ে ক্ষমা চাইলেন বুবলী
- কলকাতার নায়িকাকে নিয়ে কক্সবাজারে উড়াল দিলেন জায়েদ খান
- জেবার শুটিংয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের বাধা
- যশোরে বাণিজ্যিকভাবে ভারতীয় আঙ্গুর চাষ করে সফলতা
- বিচ্ছেদের ৬ বছর পর তাহসানকে কটাক্ষ করলেন মিথিলা
- অবিবাহিত হয়েও মা হচ্ছেন স্পর্শিয়া
- গায়ের চামড়া মোটা করেই কাজে নামতে হয়: কৌশানী মুখার্জি
- সারা-শেহনাজের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস, সমকামী দুই অভিনেত্রী!
- ‘ভোরবেলা জানতে পারি আমাদের দোকান পুড়ে ছাই’
- প্রিয়াঙ্কাকে দীপিকার খোঁচা
- বুবলীর চাওয়া বীর শাকিবের মতো না হোক
- জাপানে কি করছেন জয়া? জেনে নিন পুরো ঘটনা
- খোলা পোশাকে ছবি দিতেই কটাক্ষের মুখে শ্রাবন্তী
- দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসারের ইতি টানলেন অভিনেত্রী
- ঘনিষ্ঠ কমনীয় ভঙ্গিতে জয়া-স্বস্তিকা
- ‘রেড কার্পেট’ মাতালেন মিম
- সরে যাচ্ছে ঢাকার তিন বাস টার্মিনাল

- জেনে নিন, লিচুর আছে হাজারো গুণ!
- আমার প্রাপ্তি বেশি, বিসর্জন কম : সুবীর নন্দী
- নিজের কোনো চাওয়া নেই
- ‘করোনাকাল’ থেকে ‘বাসন্তীকাল’
- ‘এ ধরনের ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং বেশ জটিল’
- টেলিভিশনের আবেদন কমছে বলে আমার মনে হয় না
- প্রেম করেছি, প্রেমে পড়িনি
- আগামী দু-তিন বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই
- যারা ইংরেজিতে দুর্বল তাদের জন্যই সার্চ ইংলিশ : রাজীব
- আধুনিক বিশ্বের মতো উন্নত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় যাচ্ছে দেশ
- এলআরবিকে সহযোগিতা করতে দলে যুক্ত হয়েছি
- ‘পুরো গায়ে মাটি মেখে ৬ ঘণ্টা ফ্যানের নিচে ছিলাম’
- এইবার আমারে বিদায় দাও
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করতে হবে
- মিডিয়া ক্যারিয়ার নিয়ে আমি সন্তুষ্ট: মিম