মমতাময়ীর যোগ্য উত্তরসূরি পুতুল
নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২১

প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। একটু মমতা পেলেই তারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন। এ দেশে এমনই এক বাস্তবতা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন একজন। যার কথা বলছিলাম তিনি আর কেউই নন; তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য উত্তরসূরি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কন্যা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজ (৯ ডিসেম্বর)।
১৯৭২ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সায়মা ওয়াজেদ দেশে ‘পুতুল’ নামে পরিচিত। সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পায়। মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন।
তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন । পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমের মতো অবহেলিত একটি বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অংশগ্রহণ করেন। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশে ‘নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট ২০১৩’ পাশ করা হয়। সেই সঙ্গে তার প্রদান করা পরামর্শের ওপর ভিত্তি করেই জাতিসংঘ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালে সায়মা ওয়াজেদকে ‘এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। উল্লেখ্য যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলীতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন। বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অটিজম বিষয়ক ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ কাজ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন।
একবিংশ শতাব্দীতে এসে বিশেষত বাংলাদেশে অটিজমসংক্রান্ত ধারণা দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে। বর্তমানে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বজুড়েই নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সবার মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। বাংলাদেশেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় অটিজম আক্রান্তরা নানাভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।
তিনি ২০০৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে অটিস্টিক শিশুদের অধিকার ও শিশুদের অটিজমসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করে আসছেন। সায়মা ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘের অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ আয়োজিত ‘অ্যাড্রেসিং দ্য সোসিওইকোনমিক নিডস অব ইনডিভিজুয়ালস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিজ অ্যাফেকটেড বাই অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের উদ্যোগে এ অঞ্চলের ১১টি দেশের জন্য অটিজমসংক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্ন ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে অটিজমবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনীত হন। এছাড়া সায়মা ওয়াজেদ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের একজন মনোনীত (সিভিএফ) ‘থিমেটিক দূত’।
এরই মধ্যে সায়মা বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সৃষ্টিশীল নারী নেতৃত্বের ১০০ জনের তালিকায় নিজের স্থান করে নিয়েছেন। বাংলাদেশে সায়মা ওয়াজেদ পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। দেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি এক ইতিবাচক পরিবর্তনের বাতিঘর। তাই অটিজম, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং বাংলাদেশ এক সূত্রেগাঁথা।
সায়মা ওয়াজেদ একজন সুবক্তা ও লেখক বটে! মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিক্সের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে মানসিক ভারসাম্য ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার ইস্যুতে বড় ধরনের অবদান রেখেছেন।
সমাজে ও পরিবারে মেয়েদের কোণঠাসা, নির্যাতিত অবস্থার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী কন্যা সদাসোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। এ ব্যাপারে তার স্মরণীয় উক্তি— ‘আমরা মেয়েরা কেন অস্বস্তিতে থাকব? আমরা কেন ভয়ে থাকব? আমাদের কেন... এভাবে চলতে হবে, আর তা না হলে আমাদের দোষ দেওয়া হবে? আমাদের ছোটবেলা থেকে ভয় দিয়ে কেন বড় হতে হবে? আমরা সাহস নিয়ে কেন চলতে পারব না?’
গেল বছর আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পাবলিক প্লেসে নারীর নিরাপত্তা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের উদ্বোধনী বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, ‘হ্যাঁ, সেলফ প্রটেকশন স্কিলস জানা উচিত, অফ কোর্স। কিন্তু আমাদের কেন এভাবে থাকতে হবে? কেন আমরা জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে চলব? আমরা মেয়ে বলে কেন ভয়ে চলতে হবে? এক্সট্রা কেয়ারফুলি চলতে হবে, অন্যভাবে চলতে হবে? আমাদের যেটা মনে চায়, যেটা ইচ্ছা, যেটা আমরা করতে পারি, সেটা কেন আমরা করতে পারব না?’
সায়মা ওয়াজেদ আরও বলেছেন, ‘আমাদের দেশকে যেন আমরা এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেখানে কোনো মেয়ে হয়রানির শিকার হবে না। কোনো মেয়ের অশ্রদ্ধাও হবে না। আমরা যেন সম্মানের সাথে এগিয়ে যেতে পারি। যে যেটার স্বপ্ন দেখছি, যেটা করতে চাচ্ছি মন খুলে যেন এটা করতে পারি। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ছোটবেলা থেকেই নারী-পুরুষের সমতার শিক্ষা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
চার সন্তানের জননী সায়মা বলেছেন, ‘আমার চার বাচ্চাকে আমি যা শেখাব, আমি চাই আমার দেশে ওরকমভাবে সবাইকে শেখানো হোক যে, নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো তফাৎ নাই। আমরা ইক্যুয়াল। আমরা সব জায়গায় ঘরে হোক, বাইরে হোক, যেখানেই হোক, রাস্তাঘাটে হোক, স্কুলে হোক এবং কাজকর্মের জায়গায় যেন আমরা নারীর সম্মান তৈরি করি।’ নারী নির্যাতন রুখতে স্কুল-কলেজ, কর্মক্ষেত্র বা পথে-ঘাটে যেখানেই নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে দেখা যাবে, সেখানেই নারী-পুরুষ সবাইকে এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ।
তিনি বলেছেন, একটা মেয়ে যদি এক জায়গায় দাঁড়ায়, আমরা যদি দেখি যে তাকে নাজেহাল করা হচ্ছে। তার সাথে প্রতিবাদ করার যদি কেউ না থাকে পাশে তাহলে সে একা কী করবে? কোনো মানুষই একা কী করবে? তার তো সাথে থাকতে হবে, পাশে থাকতে হবে। আমাদের ছেলেদের এ শিক্ষাটা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই নিজ ঘর থেকে। এ শিক্ষাটা তো দিতে হবে। বড় হয়ে নিজেদের সংসার করবে, ওই জায়গাটা তো তাকে তৈরি করে দিতে হবে।
আমাদের পরিবারে ও সমাজে মেয়েদের দাবিয়ে রাখার প্রবণতার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, আমি যদি জোরগলায় কথা না বলতে পারি নিজের বাড়িতে, আমাদের যদি সব সময় বলা হয়- না না না, চুপ থাক, তুমি বেয়াদবি করো না, শান্ত থাকো, মাথা ঠাণ্ডা রাখো, প্রতিবাদ করো না; কিন্তু ওটা তো আমাদের বাঙালি জাতির ইতিহাসে নাই। প্রতিবাদের সময় বাঙালির সবার আগে কিন্তু মহিলারাই ছিল।
আমাদের ইতিহাসই যখন বলে, আমরা প্রতিবাদ আগে করব, তা এখন কেন আমরা চুপচাপ থাকব? প্রতিবাদ ভাই-বোন একসাথে মিলে করতে হবে। একা একা করলে হবে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে কোনো মেয়ে যে বয়সী মেয়ে হোক, সে যেন নিজের সম্মান নিয়ে মাথা তুলে সব জায়গায় হাঁটতে পারে, সব জায়গায় যেতে পারে- এটার কাজ কিন্তু আমাদের এক জনের না। এটা আমাদের আশপাশের সবাই আছে। তাদের করতে হবে।
সায়মা ওয়াজেদ বলেন, কোথাও কোথাও কোনো একটা মেয়েকে যেন ওই প্রশ্ন দেওয়া হয়, তোমরা এ রকম না করলে কিন্তু তোমার উন্নতি হবে না, চাকরি চলে যাবে। এটা কিন্তু প্রত্যেকটা প্রফেশনে হচ্ছে। কিছু কিছু প্রফেশনে আরও বেশি করে হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য, একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ। তিনি ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘের অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে আসছেন। তিনি জাতিসংঘ আয়োজিত ‘অ্যাড্রেসিং দ্য সোসিওইকোনমিক নিডস অব ইন্ডিভিজুয়াল্স, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিজ অ্যাফেকটেড বাই অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
সায়মা ওয়াজেদ অটিজমসংক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে নিরবচ্ছিন্ন ও উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের উদ্যোগে এ অঞ্চলের ১১টি দেশের জন্য এ পুরস্কার চালু করা হয়। সায়মার উদ্যোগেই অটিজম সচেতনতায় বাংলাদেশের একটি প্রস্তাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিষদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যাবলিতে অটিজমের বিষয়টি তিনিই সংযুক্ত করেন।
তিনি ২০১১ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অটিজম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি প্যানেলের একজন সদস্য হন। তার উদ্যোগে ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজমবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সায়মা বাংলাদেশে স্বাস্থ্য এজেন্ডায় অটিজমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা নেন। অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার এবং অন্যান্য মানসিক ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আকর্ষণে সহায়তা করার জন্য ২০১৭ সালে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে অটিজমবিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন।
সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও স্নায়ুবৈকল্যবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি এ দেশের প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিকদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, তাদের জীবন অর্থবহ করার জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অটিজম বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রথমে নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশে, পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় তিনি কাজ করেন।
তার পরিচালিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ‘নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি ট্রাস্ট অ্যাক্ট-২০১৩' সালে পাশ করা হয়। বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের পথে সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি এক আলোকবর্তিকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামীর নাম খন্দকার মাশরুর হোসেন। তিন কন্যা এবং এক ছেলের জনক-জননী তারা।
লেখক: খায়রুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন

- গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি: নিন্দা জানালেন ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিক
- সংসদ নির্বাচনের মহাযজ্ঞ শুরু
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার
- ডলার কারসাজির দায়ে ১০ ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানকে জরিমানা
- মার্কিন ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে সুখবর
- ৪০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, আর নয়: এরদোগান
- পানি পানের সঠিক সময়
- যে কারণে ‘অ্যানিম্যাল’র পারিশ্রমিক কম নিয়েছেন রণবীর
- বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকবেন মাশরাফী!
- শেষ বিশ্বকাপ যেসব তারকাদের!
- সন্ত্রাসীরা কখনো সফল হতে পারবে না: এরদোগান
- একমুঠো বাদাম খেলে শরীরে যা ঘটে
- বিএনপির মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই: হানিফ
- চলতি মাসেই শুটিংয়ে ফিরছেন পূর্ণিমা
- চলতি মাসেই শুটিংয়ে ফিরছেন পূর্ণিমা
- নোবেল পুরস্কার যেভাবে দেওয়া হয়
- কাকে ‘মীরজাফর’ বললেন সাকিবপত্নী শিশির
- ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে পুলিশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’
- ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে পুলিশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই’
- আবারও বিয়ের পিঁড়িতে শাহরুখের নায়িকা মাহিরা খান
- রাজধানীতে হামলার জবাবে যা করল তুরস্ক
- আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
- মেক্সিকোতে ট্রাক উলটে ১০ অভিবাসী নিহত
- শিশুদের মনে বড় হওয়ার সাহস জাগাতে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধানমন্ত্রী
- অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে আইফোন ১৫, যা জানাল অ্যাপল
- হোয়াটসঅ্যাপে ‘নীল’ ভেরিফিকেশন চেকমার্ক চালু
- রাঁধুন খাসির মাংসের আখনি পোলাও, দেখুন রেসিপি
- সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১০.৩৭%
- হঠাৎ যে কারণে রেস্তোরাঁয় গেল বাবর বাহিনী
- হোটেলে রুম না পেয়ে অপেক্ষা করলেন পান্ডিয়া
- ফরিদপুরে `দাফনের` পাঁচদিন পর জীবিত ফিরলেন গৃহবধূ
- বিকিনি পরা ছবি পোস্ট করে ট্রলের শিকার ঋতুপর্ণা
- তামিমকে না নেওয়ার গোপন রহস্য ফাঁস
- এবার সংসার নিয়ে ক্ষমা চাইলেন বুবলী
- কলকাতার নায়িকাকে নিয়ে কক্সবাজারে উড়াল দিলেন জায়েদ খান
- জেবার শুটিংয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের বাধা
- যশোরে বাণিজ্যিকভাবে ভারতীয় আঙ্গুর চাষ করে সফলতা
- বিচ্ছেদের ৬ বছর পর তাহসানকে কটাক্ষ করলেন মিথিলা
- অবিবাহিত হয়েও মা হচ্ছেন স্পর্শিয়া
- গায়ের চামড়া মোটা করেই কাজে নামতে হয়: কৌশানী মুখার্জি
- সারা-শেহনাজের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস, সমকামী দুই অভিনেত্রী!
- ‘ভোরবেলা জানতে পারি আমাদের দোকান পুড়ে ছাই’
- প্রিয়াঙ্কাকে দীপিকার খোঁচা
- বুবলীর চাওয়া বীর শাকিবের মতো না হোক
- জাপানে কি করছেন জয়া? জেনে নিন পুরো ঘটনা
- খোলা পোশাকে ছবি দিতেই কটাক্ষের মুখে শ্রাবন্তী
- দীর্ঘ ১৮ বছরের সংসারের ইতি টানলেন অভিনেত্রী
- ঘনিষ্ঠ কমনীয় ভঙ্গিতে জয়া-স্বস্তিকা
- ‘রেড কার্পেট’ মাতালেন মিম
- সরে যাচ্ছে ঢাকার তিন বাস টার্মিনাল

- `হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন`
- ঐক্যফ্রন্টকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ আছে?
- বিএনপি’র ‘ডু অর ডাই’ ষড়যন্ত্র ফাঁস
- ঝিকরগাছার আদ্যোপান্ত
- মানসিক চাপে তাবিথ-ইশরাক, কী হবে ভবিষ্যৎ?
- শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও আর্থিক খাতে অগ্রগতি
- ভারতের জনতার সমর্থনও শেখ হাসিনার প্রতি
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন | তোফায়েল আহমেদ
- যেখানে গল্প জমে
- হায় ড. কামাল হোসেন!
- বলিষ্ঠ কূটনীতি ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরানো যাবে না
- করোনা মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগ
- কল্পলোকের পদ্মা সেতু মর্ত্যে আবির্ভূত
- জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা নিন
- ইউরোপ বনাম এশিয়ার ঈদ