সোমবার   ০২ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৬ ১৪৩০   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
যশোরে আমনের সবুজ ধানক্ষেতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা চৌগাছায় পেঁয়াজ বীজ পেলেন ১৭০ কৃষক রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
১০১২

মহেশপুরে ১৮ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর-জিন্নাহনগর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটারের পুরোটাই। সড়কের পুরোটাই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে।

সরেজমিনে মহেশপুর উপজেলার স্বরূপপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, আঞ্চলিক এই মহাসড়ক দিয়ে মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, নেপা, শ্যামকুড়, কাজীরবেড় ও স্বরূপপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। গত কয়েক বছরে দত্তনগর বাজার থেকে জিন্নাহনগর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উপজেলা ও জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

জিন্নাহনগরগামী রাইসা নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, প্রতিদিন নছিমন, মিশুক ও ইজিবাইকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে বাসা থেকে আগে বের হতে হয়। কিন্তু সব সময় ভয়ে থাকি গাড়ি কখন জানি উল্টে যায়।

বশির উদ্দিন নামের এক চালক জানান, আমাকে প্রতিনিয়ত এই রাস্তা নিয়ে চলাচল করতে হয়। ১৮ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট। কিন্তু রাস্তা ভাঙার কারণে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। আজ জিন্নাহনগর থেকে ঝিনাইদহ যাচ্ছিলাম; কিন্তু স্বরূপপুর ইউনিয়নের সামনে এসে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

কাজীরবেড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্যরা আশ্বাস দেওয়ার পরও তা মেরামত করা হচ্ছে না। শুনেছি টেন্ডার হয়েছে। পাশের অন্য রাস্তাগুলো সংস্কার করা হলেও এই রাস্তাটুকু আজ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি।

সবজি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, এসব এলাকার সবজি আমরা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। রাস্তা সংস্কার না করার কারণে ট্রাক ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। এতে লাভের পরিমাণ কম হয়। গত বছর আমরা নিজ উদ্যোগে বড় বড় গর্ত মেরামত করেছিলাম। কিন্তু এবার আর সম্ভব হচ্ছে না।

ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বলেন, আগের কর্মকর্তা নতুন ডিপিপি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ডিপিপি পাস হলে নতুন করে টেন্ডার করতে হবে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর