শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৩২

শার্শায় ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি, হাজারো মানুষের ভোগান্তি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  

যশোরের শার্শার নাভারণ থেকে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে বেতনা নদীর উপর দুটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও কাজ চলছে ধীর গতিতে। এর ফলে অনেক দিন পর এ উপজেলার কাজিরবেড় ও গাতিপাড়াসহ অঞ্চলের মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বিষাদে রূপ নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দুটি ব্রিজ জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ ছিলো। 

দুগ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। গাতিপাড়া খেয়াঘাট ও কাজির বেড় দীর্ঘদিনের পুরাতন ও ঝুকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ দুটি তৈরি করছে এলজিইডি। নির্মাণ কাজ করছে যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুটি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।

গত বছরের ৯ জানুয়ারি ব্রিজের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়। তবে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরুর প্রায় দেড় বছর হলেও বিভিন্ন কার্য্য জটিলতায় সব মিলিয়ে ৬০ ও ৪০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল তাদের। ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দার খুলবে। তবে সময়মত কাজ শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তিতে রয়েছেন দুই গ্রামের মানুষ।

যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সুখেশ মজুমদার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে গাতিপাড়া খেয়াঘাট ব্রিজের কাজ ৬০ শতাংশ এবং কাজির বেড় ব্রিজের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। বাকি কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবো।

শার্শা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) এম এম মামুন হাসান জানান, কার্য্যজটিলতায় ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ না হলেও খুব শিগগিরই শেষ হবে বলে মনে করছি। যথা সময়ে কাজ শেষ করতে করণীয় বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুতই কাজ শেষ হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যেন ভালভাবে চলাচল করতে পারেন সে জন্য পাশেই কাঠের সেতুটি উপযোগী করে তুলছি। কাঠের সেতু দুটিতে জনসাধারণ চলাচল স্বাভাবিক হলে জনভোগান্তি কমে আসবে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর