মঙ্গলবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩০   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন নড়াইলের চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা দেশের নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এখন আগুন সন্ত্রাস চলছে : তথ্যমন্ত্রী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: বাতিল ২৭৫, স্থগিত ২৩ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
২৬১

শিক্ষিকার থাপ্পড়ে স্কুলছাত্রীর কানের পর্দা ফাটার অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২২  

যশোরের চৌগাছায় শিক্ষিকার থাপ্পড়ে পান্না খাতুন নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীর কানের পর্দা ফেটে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার  (০৬ নভেম্বর) উপজেলার বহিলাপুতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

শ্রেণি কক্ষ পরিষ্কার না করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নার্গীস পারভীন তাকে থাপ্পড় মারেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) ওই শিক্ষার্থীর মা যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যশোরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিকভাবে অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। 

এছাড়া তদন্তকালে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন থাপ্পড় মারার বিষয় স্বীকার করেছেন। এতে কান ফেটে গিয়েছে কিনা তিনি জানে না বলে জানান তিনি।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রোববার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। তিনি যখন অফিসে বসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন সহকারী শিক্ষক নারগিস পারভীন ওই শিক্ষার্থীকে একটি সিঁড়ি ঘর ঝাড়ু দিতে বলেন। ঝাড়ু না দেয়ায় পান্নাকে ডেকে শিক্ষক নার্গিস পারভীন বাম কানে তিনটি থাপ্পড় মারেন। এতে পান্নার কনের পর্দা ফেটে যায়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা জানান, বাড়ি যাওয়ার পর সন্ধ্যার তার গায়ে জ্বর আসে এবং কানে ব্যথা শুরু হয়। পরদিন মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসক আকিব হোসেন বলেন, মেয়েটি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কানের মধ্যে পানি জমে রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তিনি নির্দেশ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা জানান, তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর