বুধবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ১১ ১৪৩০   ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
৯১৯

স্থায়ী হলো রুবেলের কবর, তার পরিবারকে মেয়রের চিঠি

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২২  

চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারের কাছে পরাজিত হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। তাকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। সে সময় তার স্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন, রুবেলের কবরটা যেন স্থায়ী করা হয়।

অবশেষে সবধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা চৈতিকে কবর স্থায়ী করার অনুমোদনের চিঠি প্রদান করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রুবেলকে বনানী কবরস্থানে অস্থায়ী কবর দিলে সেটি স্থায়ী করতে আকুতি জানিয়ে তার স্ত্রী চৈতি বলেছিলেন, ‘রুবেলের কবরের মাটি যেন আমার ছেলেটা (রুশদান) দেখতে পারে। দুই বছর পর তুলে ফেললে আমরা তো আর পাব না। রুবেল তো আর কোথাও নেই, হারাই গেছে। আমাদের জন্য শুধু এখানেই আছে।’

তখনই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিশেষ বিবেচনায় রুবেলের কবর স্থায়ী করা হবে। অবশেষে প্রয়াত এই ক্রিকেটারের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের অনুমোদনের চিঠি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

২৮ জুলাই দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে মেয়রের নিকট থেকে অনুমোদনের চিঠি গ্রহণ করেছেন রুবেলের স্ত্রী ফারহানা চৈতি।

এ সময় মেয়র আতিকুল বলেন, ‘প্রয়াত ক্রিকেটার রুবেল জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। এটাই তার সবচেয়ে বড় পরিচয়। রুবেল ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার কবরটি দায়িত্ববোধ থেকেই দ্রুততম সময়ে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি।

আমরা সবাই জানি প্রধানমন্ত্রী খেলা প্রিয় একজন মানুষ। খেলোয়াড়দের যেকোনো সমস্যা তিনি গুরুত্বসহকারে দেখেন। রুবেলের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানিয়েছিলেন কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের। সেটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে আমরা কাজটি সম্পন্ন করেছি। রুবেলের একমাত্র ছেলে তার বাবার স্মৃতি স্মরণ করতে পারবে।’

মৃত্যুকালে রুবেলের বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। ২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলে নেন ১টি উইকেট। ২০১৬ সালে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে নেন ৩ উইকেট। এরপর বাদ পড়ে যান দল থেকে।

জাতীয় দলে থিতু হতে না পারলেও রুবেল ছিলেন ঘরোয়া লিগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১২ ম্যাচে নেন ৩৯২ উইকেট। লিস্ট ‘এ’তে ১০৪ ম্যাচে নেন ১২০ উইকেট। এ ছাড়া ৫৬টি টি-২০ ম্যাচে ৬০ উইকেট নেন তিনি।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর