শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৪০

২৯১ কিমি সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি

কেশবপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

সাইকেল চালাই শখের বশে, নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। এটা শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। যারা সাইক্লিং করে তারা শুধু সমতলে নয়, পাহাড়-নদী ডিঙিয়ে দূরের পথ পাড়ি দেয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। তবে এবারের পরিকল্পনাটা একটু ভিন্ন ছিল। মাস তিনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল বাড়ি যাব সাইকেল চালিয়ে। এছাড়া যানজটের দুর্ভোগ থেকে বাঁচতেও এবার সাইকেল করে বাড়ি ফেরা।

কথাগুলো বলছিলেন সম্প্রতি ২৯১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। সারা দেশ যখন গরমের দাবদাহে পুড়ছে, তখন সাইকেল নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাড়ি জমিয়েছেন নিজের জন্মস্থান যশোরের কেশবপুর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে।  ৩১ ঘণ্টার ‌এ সফল যাত্রায় ১৯ ঘণ্টাই চালিয়েছেন সাইকেল।  বাকি সময় নিয়েছেন বিশ্রাম।

মামুন জানান, সারা দেশে তাপমাত্রা বেশি থাকায় এবারের যাত্রায় তাকে কিছুটা কৌশল গ্রহণ করতে হয়েছে। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৮টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের ফটক থেকে যাত্রা শুরু করেন। রাতের বেলায় প্রতি ১৫ কিলোমিটার পরপর এবং দিনের বেলায় ৮-১০ কিলোমিটার পরপর বিশ্রাম নিতে হয়েছে। সেটা ৫ মিনিটের জন্য হলেও। এ সময় তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে কুমিল্লা, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলা।

পথে মোটাদাগে কোনো সমস্যা হয়নি তবে সময়মতো পাওয়া যায়নি ফেরি, তাপমাত্রাও ছিল সহ্য সীমার বাইরে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে ও দেহের তাপমাত্রা যেন বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়েছে প্রতি মুহূর্ত। সেজন্য বাড়ি পৌঁছাতেও সময় লেগেছে বেশি। তবে কিছু অভিজ্ঞতা ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর। পথে পথে মানুষের ভালোবাসা তাকে মুগ্ধ করেছে। সাহায্য করেছেন অনেকে। এমনকি পথে অপরিচিত একজনের বাড়িতে রাতে মিলেছে আশ্রয়।

এর আগে মামুন গত বছরের জুন মাসে ভ্রমণের নেশায় ৩৬৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যান শ্রীমঙ্গল। তিনদিনের যাত্রায় সে সময় কুমিল্লা জেলা থেকে শুরু করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে পর্যায়ক্রমে একে একে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ শেষ করেন এ তরুণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি ভ্রমণ করেন তিনি। ভবিষ্যতে ক্রস কান্ট্রি রাইড যাত্রায় যোগ দেয়ার ইচ্ছা তার।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর