মঙ্গলবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩০   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন নড়াইলের চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা দেশের নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এখন আগুন সন্ত্রাস চলছে : তথ্যমন্ত্রী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: বাতিল ২৭৫, স্থগিত ২৩ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
৮৩৯

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করতে হবে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। সত্তর দশকের শুরু থেকেই মিডিয়ায় সক্রিয় রয়েছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এ সঙ্গীতজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে 
 

* আপনার কেন মনে হয়েছিল, ‘আমার এখন মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া উচিত’?

** আমি তো ঢাকার ছেলে। আমি নিজে গণহত্যা দেখেছি। বর্তমান প্রজন্ম যা ছবি বা নাটকে দেখে তার থেকে আরও নির্মম দৃশ্য আমি সরাসরি দেখেছি। সে গণহত্যাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যেতে বাধ্য করেছে। ২৫ মার্চই আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এবং সেদিনই জিঞ্জিরাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম।

* যুদ্ধের সময়ের ভয়ঙ্কর কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে?

** হ্যাঁ। যুদ্ধ চলাকালীন আমি তিন মাস জেলে ছিলাম। ২ অক্টোবর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলে থাকা অবস্থায় আমি দেখেছি আমার পাশের অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। আর আমি এটারই সাক্ষী দিয়েছিলাম।

* জেলে নির্যাতিত হওয়ার কোনো স্মৃতি আছে?

** ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আটক থাকা অবস্থায় আমাকে যখন নির্যাতন করা হল, দুই দিন ধরে আমার জ্ঞান ছিল না। কত মানুষকে যে চোখের সামনে হত্যা করতে দেখেছি তা ভাবলেও শিউরে উঠি।

* মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসার মতো কোনো অপারেশন ছিল?

** অবশ্যই ছিল। আমরা তিন বন্ধু, সারোয়ার, মাহবুব ও আমি। আমরা আজিমপুর নিউমার্কেটে গ্রেনেড হামলা করেছিলাম পাকিস্তানি আর্মির গাড়িতে। এত কাছ থেকে এ হামলা করেছিলাম, আমিও মরে যেতে পারতাম। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু আমার দুই বন্ধু মারা গেল সেদিন।

* মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আপনাদের উদ্বুদ্ধ করতে গান কতটা ভূমিকা রেখেছিল?

** আমিও তখন দেশ নিয়ে তৈরি করা অনেক গান শুনতাম। ভালোভাবে উদ্বুদ্ধও করেছিল। তবে আমার মনে যুদ্ধ ছাড়া কিছুই ছিল না। আমি তখন অপারেশন পছন্দ করতাম।

* এ প্রজন্মের কাছে কি যথাযথ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করেন?

** মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পৌঁছে দেয়ার আগে তো হৃদয়ে লালন করতে হবে। এখন ফেসবুক খুললে অনেক কিছুই দেখি। বিভিন্ন রকম ছবি দেখি, কিন্তু কেউ কি সেদিনের কোনো স্মৃতিচারণ করছে? কেউ কি সে সময়ে ঘটে যাওয়া কোনো কাহিনী বলছে। শুধু ছবি দেখা যায় ফেসবুকে। ১৬ ডিসেম্বর এলেই সম্মান, শ্রদ্ধাঞ্জলির ছবিতে ফেসবুক, অনলাইন ভরে যায়। এ থেকে তো বোঝা যায় আসলে চেতনা কোথায় পৌঁছে গেছে।

* তরুণ প্রজন্মের কাছে আপনার পরামর্শ কী?

** তোমাদের যুদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করতে হবে। পথ অনেক, এগিয়ে যাও।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর