মঙ্গলবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩০   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন নড়াইলের চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা দেশের নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এখন আগুন সন্ত্রাস চলছে : তথ্যমন্ত্রী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: বাতিল ২৭৫, স্থগিত ২৩ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
১১৩৩৩

সিজারিয়ান মায়েদের জন্য বিশেষ সাবধানতা

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিবর্তে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিজারের সাহায্য নিতে দেখা যায়। কিন্তু সিজারের পর কী হয়, তার ব্যাপারে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। জেনে নিন সিজার করানোর ব্যাপারে দরকারি কিছু তথ্য। সিজার করে সন্তান জন্ম দিলে চার দিনের মতো হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। তারপর বাড়িতে মায়েদের জন্য বিশেষ সাবধানতা দরকার। কারণ এই সময় যদি মায়ের যত্ন ঠিক মতো না নেয়া হয় তাহলে ঘটে যেতে পারে নানা রকমের বিপদ। তাই জেনে নিন  প্রসব পরবর্তি সময়ে সিজারিয়ান মায়েদের জন্য বিশেষ যত্ন নেয়ার কিছু টিপস।

অনেক মা-ই জানেন না যে সিজার করানোর পরেও যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হয়। তবে এই রক্তপাতের পরিমাণ হবে সীমিত। খুব বেশি রক্তপাত, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ এবং গাড় রঙের রক্ত যাচ্ছে কী না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এগুলো ইনফেকশনের লক্ষণ।

সিজার করানোর পর মা-কে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয়। তা খাওয়ানো হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে মা এবং তার পরিবারকে সতর্ক থাকতে হবে। সিজার করানোর পরে আরেকটি সমস্যায় মেয়েদের ভুগতে দেখা যায় তা হলো পরের দিন পা ফুলে যাওয়া। এক্ষেত্রে ঘুমানোর সময়ে বা শুয়ে থাকার সময়ে পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে পা একটু উঁচু করে রাখতে হবে। তাহলে পা ফোলা কমে যাবে।

সিজার করানোর পর অনেক মা-ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না। সিজার করানোর পর তিন দিনের মাঝে বুকের দুধ না খাওয়ালে এ সময়ে স্তনে চাকা চাকা অনুভূত হয় এবং ব্যাথা হতে পারে। সমস্যার সমাধানে তোয়ালে গরম করে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও দুধ বাচ্চাকে না দিলেও বের করে ফেলে দিতে হবে বা রেখে দিতে হবে।

আরেকটি ব্যাপার যা অনেক মা-ই জানেন না, তা হলো বুকের দুধ ফিডারে রেখে খাওয়ানো। মায়ের দুধ ফিডারে করে ফ্রিজে রেখে দিলে তা বাচ্চাকে দেওয়া যাবে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। ঠাণ্ডা দুধ তো অবশ্যই বাচ্চাকে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা চুলায় ফুটিয়ে বা ওভেনে গরম করেও দেওয়া যাবে না। গরম পানিতে ফিডার রেখে এই দুধ গরম করে দিতে হবে।

এছাড়াও সিজার করার পর আরও বেশ কিছু ব্যাপারে জেনে রাখা ভালো-

১. ক্যাথেটার: সিজার করানোর পর একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করা হতে পারে তার শরীরে। এটা শুধু প্রথম দিনেই রাখা হয়। পরের দিন খুলে ফেলা হয়।

২. সেলাইয়ের দাগ: সেলাইয়ের দাগটা থেকে যায় অনেকদিন, অনেক বছর পর্যন্ত। তবে সময়ের সাথে তা অনেক হালকা হয়ে যায়, আগের মতো উঁচুও হয়ে থাকে না। অপারেশনের পর এই কাটা দাগ শুকাতে দিতে হবে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ। পুরো শুকিয়ে গেলে তারপরেই কেবল দাগ দূর করার জন্য তেল মালিশ বা দাগ দূর করার ক্রিম লাগানো যেতে পারে।

৩. অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারা: এটা বেশ বড়সড় একটা অপারেশন সুতরাং অনেকেই এই অপারেশনের পর টয়লেটের কাজ সারতে ভয় পান। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রয়োজন হলে ডাক্তার কিছু ওষুধ দেবেন যা সহজে টয়লেটের কাজ সারতে সাহায্য করবে।

৪. হাঁটাচলা: সিজারের পর রক্ত জমাট বাঁধার ভয় যেন না থাকে তার জন্য পরের দিন হালকা হাঁটাচলা করাটা ভালো।

৫. শরীরে কাঁপুনি: শরীর থেকে অ্যানেসথেসিয়ার প্রভাব কেটে যাবার সময়ে অনেকের কাঁপুনি দেখা যায়। শরীরের নিচের দিকে বিশেষ করে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে। কয়েক ঘন্টার মাঝে এই অনুভুতি কেটে যাবার কথা।

৬. রক্তপাত: প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জন্ম না দিলেও রক্তপাত হবেই। একে বলা হয় পোস্টপারটাম ব্লিডিং। এটা খুব বেশি হলে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

৭. ভারী কাজ নিষেধ: বাচ্চার চাইতে ভারী কিছু আপনি তুলতে পারবেন না প্রথম ২-৩ সপ্তাহ। ৪-৬ সপ্তাহ ব্যায়াম বন্ধ। আর শারীরিক সম্পর্ক বন্ধ রাখতে হবে প্রথম ছয় সপ্তাহ।

৮. হাঁচি-কাশিতে ব্যাথা হতে পারে: সার্জারির পর হাঁচি-কাশি দিতে গেলে পেটে ব্যাথা লাগতে পারে। এ সময়ে পেটের ওপর বালিশ চেপে ধরে রাখলে ব্যাথা কম হবে। অনেকেই এ সময়ে বেল্ট পরে থাকেন। এই বেল্টও ব্যাথা কমাতে সহায়ক। প্রথম সপ্তাহে এই সমস্যা বেশি হবে। পরে কমে যাবে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো