সোমবার   ০২ অক্টোবর ২০২৩   আশ্বিন ১৬ ১৪৩০   ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
যশোরে আমনের সবুজ ধানক্ষেতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা চৌগাছায় পেঁয়াজ বীজ পেলেন ১৭০ কৃষক রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার ফ্রিল্যান্সারদের ১০ শতাংশ উৎসে কর প্রযোজ্য নয়: এনবিআর ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান চুক্তি স্বাক্ষর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই
১৪৮

কেশবপুরের ২১০০ কৃষক বিনামূল্যে পাট বীজ পাচ্ছেন

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২২  

যশোরের কেশবপুরে বিনামূল্যে উন্নতজাতের পাট বীজ পাচ্ছেন দুই হাজার একশ’জন কৃষক। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তাদেরকে এই বীজ দেয়া হচ্ছে। উপজেলায় পাটচাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

পাটের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকেরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় গতবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাতশ’ হেক্টর জমিতে করা হয়েছিল পাটের আবাদ। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ওই সমস্ত জমিতে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছিল।

কেশবপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও  ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাসানপুর, ত্রিমোহিনী, মঙ্গলকোট, পাঁজিয়া, সাতবাড়িয়া ও মজিদপুর ইউনিয়নে সম্প্রতি তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে এক কেজি করে তোষা জাতের পাট বীজ এবং ১২ কেজি করে মিশ্র সার দেয়া হয়েছে। 
আগামী সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার অন্য ইউনিয়নে পাট বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম রঞ্জু।

গত ২২ মার্চ কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন পরিষদ চত্বরে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন। পরে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে কৃষকদের মাঝে এসব বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার মজিদপুর ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে দেয়া হয় পাট বীজ ও সার। 

এছাড়া, গত বুধবার হাসানপুর ইউনিয়নে প্রধান অতিথি হিসেবে পাট বীজ ও সার বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম রঞ্জু, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাবর আলী প্রমুখ।

হাসানপুর ইউনিয়নের বগা গ্রামের কৃষক রওশন আলী বলেন, পাটের ভালো ফলনে লাভবান হওয়ায় এবারও প্রায় দুই বিঘা খেতে পাট চাষ করবেন। ইতিমধ্যে খেত প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, গতবছর এ উপজেলায় চার হাজার একশ’ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাতশ’ হেক্টর জমিতে অর্থাৎ চার হাজার আটশ’ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা পাটের আবাদ করে। এপ্রিল মাস পাট বপণের উত্তম সময়।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, পাটের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এ উপজেলার চাষিরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে বিগত বছরের ন্যায় এবারও আশা করছি চাষীরা পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন। সোনালী আঁশে সুদিন ফিরছে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর