মঙ্গলবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩০   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ১৫৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন নড়াইলের চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ নভেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা দেশের নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে ইইউ তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এখন আগুন সন্ত্রাস চলছে : তথ্যমন্ত্রী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: বাতিল ২৭৫, স্থগিত ২৩ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
৬৩

স্যালাইন সংকটে অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে হাসপাতাল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২৩  

চলমান ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপের মধ্যে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম। 

রোববার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।

খুরশিদ আলম বলেন, সরকারি কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) আমাদেরকে স্যালাইন সরবরাহ করার কথা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ইডিসিএল তা সম্পূর্ণভাবে করতে পারছে না। আমরা এ বিষয়ে প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা এবং অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছি। হাসপাতালগুলো এখন লোকাল মার্কেট থেকে স্যালাইন কেনার ব্যবস্থা নেবে। এক্ষত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব আমাদের নয়। যাদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব তারাই করবে।

ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের বিষয়ে তিনি বলেন, বেশি দাম দিয়ে কারা কোথায় থেকে কিনছে এ তথ্য আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। সব জায়গায় ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেক হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণে কিট দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে কিট মজুত আছে। 

এর আগে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আলোচনায় মহাপরিচালক বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকা জরুরি। আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্রেস্ট ফিডিং ও ডে কেয়ার সেন্টার চালুর উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে চাই। হাসপাতালগুলোর অনুমোদন ও পুনঃঅনুমোদন দেওয়ার সময় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও ডে কেয়ার আছে কি না তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হবে। মাতৃদুগ্ধের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সারা দেশে ২ হাজার ১৮২টি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ১ হাজার ৩২৬টি ডে কেয়ার সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশে মানুষের চিকিৎসা সেবায় নারীরা বেশি ভমিকা রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ। নারী চিকিৎসকদের সংখ্যা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। নারী চিকিৎসকরা সমাজে মাতৃদুগ্ধ পানের প্রসারে ভূমিকা রাখবেন তা আমরা আশা করি। পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানানো হবে।

অনুষ্ঠানে শিশুকে মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর প্রচারণাকে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা বলে উলে­খ করেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ না দিয়ে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়। কিন্তু ফর্মুলা দুধও খাওয়ানো হচ্ছে। আর এমনভাবে প্রচারণা হচ্ছে যে, এটি (ফর্মুলা দুধ) শিশুর জন্য সব সমস্যার সমাধান। বিষয়টি অমানবিক। শিশুদের মায়ের দুধ না দিয়ে ফর্মুলা খাওয়ানো এবং এ নিয়ে প্রচারণা মানুষের সঙ্গে এক ধরনের বঞ্চনা ও প্রতারণা। 

‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩’ এর মূল প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করি, কর্মজীবী মা-বাবার সহায়ক পরিবেশ গড়ি’।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো