শুক্রবার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আশ্বিন ৬ ১৪৩০   ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
১০৫১১

আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া, আপোষে চাচ্ছেন মুক্তি

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২১  

সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে অনীহার কারণে রাজপথ বাদ দিয়ে দয়াদাক্ষিণ্য তথা অনুকম্পায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় বিএনপি। জানা গেছে, রাজনীতিতে জনআস্থা হারানো বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিলেও নেত্রীর মুক্তির ইস্যুতে সাংগঠনিক দুর্বলতায় নমনীয় হতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনায় তাই কঠোরতা বর্জন করে সরকারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বিএনপি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ে এতদিন কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েও কোন কিছু করতে পারেনি দলটি। দলের পক্ষ থেকে ন্যূনতম রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা এই মুহূর্তে অসম্ভব। সেটা খালেদা জিয়াও গত ৩ বছরে বুঝতে পেরেছেন। ফলে তিনি নিজের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে রাজি হয়েছেন। তাই প্রথমে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আর জামিন না হলে শেষ পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তিনি বিদেশে চলে যেতে চান।

তবে বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশ চলে গেলে তার আপোষহীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে দলটির বড় একটি অংশ। কিন্তু সাংগঠনিক দুরবস্থা ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে নেত্রীর মুক্তির জন্য সরকারের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথও খুঁজে পাচ্ছে না বিএনপি। যার কারণে দলটি শেষ পর্যন্ত অসহায় আত্মসমর্পণ করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটির নীতি-নির্ধারকরা। মির্জা ফখরুলদের সক্ষমতা বিবেচনা করেই হয়তো শেষ পর্যন্ত বেগম জিয়া মুক্তির জন্য নিজের অপরাধ স্বীকার করে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার নামে বিদেশে নিজেকে আড়াল করে রাখবেন।

এদিকে বিএনপি ছেড়ে বিকল্পধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, গত তিন বছরে বিএনপি নেতাদের সক্ষমতা, নেত্রী ও দলের প্রতি ভালোবাসার বিষয়গুলো টের পেয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন, বিএনপির এই নেতৃত্ব অন্তত কঠোর আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করার মতো সংগঠিত নয়। সুতরাং দলীয় নেতাদের আন্দোলনের আশায় থাকাটা বোকামি ভাবতে পারেন বেগম জিয়া। তাই তিনি নিজের অবস্থা বিবেচনা করে যেকোনো উপায়ে মুক্তির জন্য রাজি হয়েছেন।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর