শনিবার   ১০ জুন ২০২৩   জ্যৈষ্ঠ ২৬ ১৪৩০   ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৪

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে না স্কুলে গিয়ে ৬১ বছর আগের বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেন সোহরাব যশোরে পাওয়া যাচ্ছে না চার্জার ফ্যান প্রথমবারের মতো টাকায় বিদেশি ঋণ পরিশোধ
৭৭

চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২  

চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন জেলার চাষিরা। কিন্তু পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তাদের দ্রুত বাজারে ছেড়ে দিতে হচ্ছে পেঁয়াজ। তাই পেঁয়াজখ্যাত এই জেলায় হিমাগার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ফরিদপুর জেলার মাটি পেঁয়াজ আবাদের জন্য উপযোগী। এ কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এই জেলা। এখানে তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়; মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। এ ছাড়া জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে নাগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুরে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়।

সরেজমিনে জেলার কানাইপুর বাজারসহ বেশ কয়েকটি পেঁয়াজের বাজারে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিরা পাইকারদের (ব্যবসায়ীদের) কাছে মণ প্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। চাষিরা জানিয়েছেন, তাদের মণ প্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৯০০ টাকা। এই ক্ষেত্রে মণ প্রতি যদি তারা ১ হাজার ৮০০ টাকায় দর পেতেন তাহলে কিছুটা লাভ হতো।

বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি আশুতোষ মালো বলেন, “এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদে খরচ একটু বেশি হয়েছে”।

কানাইপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যসায়ী ও চাষি শাহজাহান মিয়া জানান, শুক্র ও মঙ্গলবার এ বাজারের হাট বসে। গত ১৫ দিন হলো মণ প্রতি চাষি পর্যায়ে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে হাজারের নিচে ছিল।

তিনি জানান, জেলার বাইলে বাজার, রামকান্তপুর বাজার, ঠেনঠেনিয়া বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, ফকিরের বাজার, নালার মোড় বাজার, কাদিরদী বাজার, সাতৈর বাজারগুলোতে চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ নিয়ে আসেন।

কানাইপুর বাজারের আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বিলাল মাতুব্বর বলেন, “চাষিদের কাছ থেকে যে দরে পেঁয়াজ ক্রয় করা হয়েছে, তার থেকে সামান্য বেশি দরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করছি”। তার দাবি, চাষিদের পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই, যে কারণেই তারা দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেন।

ফরিদপুরের কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আদর্শ পেঁয়াজ চাষি ফকির বেলায়েত হোসেন জানান, এই অঞ্চলের মূলত লাল তীর কিং নামে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়। তবে এই পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। তাই আমাদের দাবি ফরিদপুর অঞ্চলের পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের।

তিনি জানান, ৫২ শতাংশের বিঘায় ভালো ফলন হলে ১২০ থেকে ১৩০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হয়রত আলী জানান, এই মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। জেলায় সরকারি হিসাবে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন কম হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাজারে যে দর (মণ প্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা) যাচ্ছে তাতে চাষিরা মণ প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ পাচ্ছেন। ফরিদপুরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন, এর বাইরে যে পেঁয়াজ থাকে সেটা বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ করা হয়।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর