রোববার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩০   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
ভোট পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের আবেদনের সময় শেষ আজ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে ৯৬ দেশি সংস্থা মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরুর আগে বৃষ্টি সৌদির সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশন চুক্তি স্বাক্ষর দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের আরও দুটি স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় দফায় ইসির নিবন্ধন পেল ২৯ পর্যবেক্ষক সংস্থা আ.লীগ ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মুখোমুখি
১৭৬

মশার কয়েলের ধোঁয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

লাইফষ্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

মশার কামড় থেকে বিভিন্ন রকমের রোগ হতে পারে। তাই মশা তাড়ানোর জন্য অনেকেই কয়েল ব্যবহার করেন। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টুলারোমিয়া, জাপানিজ এনকেফেলাইটিস, বার্মা ফরেস্ট ফিভারের মতো রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায় মশার কামড়ে। মশার কামড় থেকে যে রোগগুলো হয় তার ধারণা আমাদের থাকলেও, মশার কয়েল থেকে কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা অনেকেই জানেন না।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, মশার কয়েলে যে পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি। মশার কয়েলে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। সেগুলোই আমাদের নাকে ঢোকে। কয়েলে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই সমস্যা সব থেকে বেশি হয় সদ্যোজাত শিশুদের। কারণ তাদের মধ্যে তখনও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো করে গড়ে ওঠে না।

কয়েলের প্রধান উপাদান হিসাবে থাকে পাইরোফ্রয়েড। এটি প্রাকৃতিক যৌগ পাইরোগ্রাম থেকে পাওয়া যায়। এর আসল সক্রিয় উপাদানটি হল কীটনাশক ডিডিটি বা পিন্ডেনের মতো ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন, প্যারাফিনের মতো আরপ্যান ফসফরাস যৌগ ও কার্বন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, একটি মশার কয়েল যে পরিমাণ ধোঁয়া উৎপন্ন করে, তা ১০০টি সিগারেটের ধোঁয়ার সমান। এর ফলে অনেক রকম স্নায়ু ঘটিত সমস্যা দেখা দিতে পারে । শুধু তাই নয়, মশার কয়েলের মারাত্মক রাসায়নিক উপাদান মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। জেনে নিন মশার কয়েল থেকে হওয়া সমস্যাগুলো: 

মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালালে যে ধোঁয়া বের হয় তার থেকে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। এছাড়াও নাক জ্বালা, গলা ব্যথা, কাশির মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে ও অ্যাজমা রয়েছে, অথবা ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে দূরে থাকুন। কয়েলের ধোঁয়া আপনার ফুসফুসের ওপরেও প্রভাব ফেলে। ফলে প্রাথমিকভাবে কাশির সমস্যার পাশাপাশি পরবর্তীকালে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারসিনোজিনস থাকে মশা তাড়ানোর কয়েলের মধ্যে। এর মাধ্যমেই ফুসফুসের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ তাদের ক্ষেত্রে মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে ত্বকে অ্যালার্জি, র‍্যাশ, চালুকানি, লালভাব ইত্যাদি অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন ভারী ধাতব অর্থাৎ হেভি মেটাল-জাত উপকরণ থাকে কয়েলের মধ্যে। এই তালিকায় রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম। এইসব ধাতব উপকরণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের মাথা যন্ত্রণা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা ঘরে কয়েল না রাখাই ভালো। বিশেষ করে খুব অল্পেই যাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায় তারা মশা তাড়ানোর কয়েলের ধোঁয়া, গন্ধ কিছুই সহ্য করতে পারেন না। আর এই গন্ধ খুবই তীব্র হয়। অতএব মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে সাবধানে থাকুন। এমনিতেও ঘরে কয়েল জ্বালানো থাকলে ওই তীব্র গন্ধ ও ধোঁয়ায় একটা দমবন্ধ করা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। বাড়িতে বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ থাকলে কয়েল থেকে তাদের অবশ্যই দূরে রাখুন।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো