রোববার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৩   অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩০   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

যশোরে কার্পাস তুলার সুদিন ফিরছে

নিউজ ডেস্ক

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোববার

যশোর অঞ্চলে কার্পাস তুলার সুদিন ফিরছে। ধান, পাট, সবজিসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলার দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষক এখন তুলা চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে যশোর অঞ্চলে তুলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ২৭০ ও উফসী জাতের ৩ হাজার ১৩০ হেক্টর।  বীজতুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ২২০ ও আঁশ তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৬৫০ টন। তুলার আবাদে উচ্চফলনশীল জাতের সংযোজন হওয়ায় একদিকে ফলন যেমন বেশি হচ্ছে, তেমনি একই খেতে সাথী ফসল হিসেবে অন্য সবজি আবাদ করে কৃষক দ্বিগুণ লাভ হবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরের ১৫টি ইউনিট, ঝিনাইদহের দুটি, গোপালগঞ্জের একটি ও খুলনার দুটি ইউনিট যশোর জোনের আওতায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তুলার আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৬০০ হেক্টরে। এর মধ্যে বীজতুলা উৎপাদন হয়েছিল ৮ হাজার ৪২০ টন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৫০০ হেক্টর, বীজতুলা উৎপাদন হয়েছিল ৮ হাজার ১৪০ টন।

যশোর জোনের খাজুরা অঞ্চলের তুলা চাষী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এ বছর যারা পাট আবাদ করেছেন তারা চরম লোকসান গুনেছেন। এক মণ পাটের দাম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। অথচ এক মণ তুলার দাম সেখানে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে তুলা আবাদে কৃষকের উৎপাদন খরচ লাগে ২০-২২ হাজার টাকা। সেখানে এক বিঘা জমিতে যে তুলা উৎপাদন হবে তা থেকে কৃষকের আয় হচ্ছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। আমি এ বছর ছয় বিঘা জমিতে তুলার আবাদ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন পাব।’

যশোরের হৈবৎ জিনিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান মন্টু বলেন, ‘তুলার বিদেশী আমদানি কমাতে সরকারের পাশাপাশি জিনিং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও কৃষকের বীজ ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। জিনিং অ্যাসোসিয়েশনের একেকটি জোনের আওতায় কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত ৩ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে তুলা সংগ্রহ করা হবে। এতে কৃষক লাভবান হবেন এবং দিন দিন চাষীর সংখ্যা বাড়বে।’

তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোর অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা জাকির বিন আলম বলেন, ‘এ অঞ্চলে তুলা চাষ সম্প্রসারণে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। উচ্চফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন ও তা থেকে বীজ তৈরি করে কৃষকের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে।’