এনজিও ম্যানেজারের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ সেবা গ্রহিতারা
নিজস্ব প্রতিনিধি
যশোরের আলো
প্রকাশিত : ০১:৪২ পিএম, ৭ মে ২০১৯ মঙ্গলবার

নড়াইলের লোহাগড়ায় ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের এক এনজিও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারে অভিযোগ পাওয় গেছে। ওই ম্যানেজারের দুর্ব্যবহার ও দম্ভোক্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লোহাগড়ায় জাতীয় দৈনিকে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক নেতারাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,লোহাগড়া ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামের এনজিতে কর্মরত ম্যানেজার মোঃ আব্দুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে এলাকার দুস্থ অসহায় মহিলাদের লোণ দেওয়ার সময় নানা অজুহাতে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে থাকে। ঘুষের টাকা না পেলে লোণ দেওয়া হয়না। আবার যাদের লোণ দেওয় হয় তাদের ডিপিএস ও সঞ্চয় এর নামে আলাদা হিসাব খুলতে হয় । ফলে ডিপিএস ও সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা গ্রাহকরা নিয়মিত প্রদান করলেও সে টাকা বইতে না তুলে আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এমনি একজন ভুক্তভোগী রাজুপুর গ্রামের তহমিনা খন্দকার জানান, তিনি নিয়মিত সঞ্চয় ও ডিপিএস প্রদান করলেও তার ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের সঞ্চয় ও ডিপিএস এবং ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের সঞ্চয় ও ডিপিএস এর টাকা পরিশোধ করলেও তার এ টাকা বইতে জমা করা হয়নি। তিনি গত ২০১৪ সালে হিসাব খোলার পর হিসাবে বিপরীতে কত টাকা জমা হয়েছে সে হিসাব মিলাতে গিয়ে তার এ ভুল ধরা পড়ে। এ দিকে ওই গ্রাহকের কাগজ পত্রে কোনরূপ ত্রুটি না থাকলেও এবং ঋণ খেলাপি না হলেও তহমিনার স্বামী ম্যানেজারকে স্যার না বলায় এবং ম্যানেজারের চাহিদা মাফিক ঋণ নেওয়া বাবদ ২১৩৩ টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় তাকে দম্ভোক্তি করে বলেন,‘ আপনাদের কোন লোণ দেওয়া হবে না।’
অপর দিকে পার মল্লিকপুর গ্রামের আবেনুর বেগম জানান, তাকেও ২মাস আগে ২লক্ষ টাকা লোণ নেওয়ার সময় ওই ম্যানেজারকে ২১৩৩ টাকা দিতে হয়েছে। লোহাগড়া এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশের ম্যানেজারের এহেন আচরণে দিন দিন লেনদেনে আগ্রহ হারাচ্ছে ব্যুরো বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গ্রাহকগন। ব্যুরো বাংলাদেশের সেবা গ্রহীতাদের দাবী ওই ঘুষ, দুর্নীতিবাজ,অনিয়ম ও দুর্ব্যবহার কারী ম্যানেজারকে অতি দ্রুত লোহাগড়ার ব্যুরো বাংলাদেশ থেকে অপসারণ না করলে, এনজিওটির সুনাম যেমন নষ্ট হবে, তেমনি লোহাগড়ার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গ্রাহকগন এখান থেকে তাদের হিসাব গুটিয়ে নেবে।
এদিকে ম্যানেজার আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লোহাগড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গ্রামের কাগজের সাংবাদিক শাহজাহান সাজু, লোহাগড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম মন্নু এবং লোহাগড়ার দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি আবু আব্দুল্লাহ, লোহাগড়া ‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ অফিসে গিয়ে ম্যানেজার আব্দুল কাদেরকে অফিসে পাননি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাকে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের কথা জানালে তিনি অফিসে আসেন। অফিসে এসে সাংবাদিক সাথে কোনরূপ সৌজন্য আচরণ না করেই জিজ্ঞাসা করে বলেন, আপনারা কি বলবেন বলেন । সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম ও দুর্ব্যবহারে অভিযোগ সত্য কিনা জানাতে চাইলে, তিনি সাফ জানিয়ে দেন -এব্যাপারে আপনাদের সাথে আমি কোন কথা বলবো না। আপনার যা পারেন তা করেন।