অভয়নগরে স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রি, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
নিউজ ডেস্ক:
যশোরের আলো
প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২০ সোমবার
যশোরের অভয়নগরে নিজের স্ত্রীকে যৌনকর্মী হিসেবে পতিতালয়ে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে যশোরে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী।
মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ (যশোর জেলা ও দায়রা জজ) এর বিচারক টিএম মুসা অভিযুক্ত উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে অভয়নগর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী ওই নারী জানান, ২০১২ সালের ২০ মার্চ অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের মালেক শিকদারের ছেলে উজ্জ্বল শিকদারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। উপার্জন বাড়াতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ও উজ্জ্বলকে ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ স্বামী উজ্জ্বল শিকদার তাকে ফুঁসলিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল পোর্ট বন্দর দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ভারতের রাজস্থান এলাকায় থাকার পর ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গালুরু শহরে চলে আসে। ওই দিন বাঙ্গালুরুর অসকোট পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যায় উজ্জ্বল। দীর্ঘ ২৩ দিন পতিতালয়ে মানবেতর জীবন-যাপন শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পতিতালয়ের এক দারোয়ানের সহযোগিতায় চোরাই পথে বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন তিনি।
ওই নারী বলেন, উজ্জ্বল ও তার ভাই আমার মতো অনেক মেয়েকে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করে বিদেশে পাচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। স্বর্ণালংকার ও জোরপূর্বক আদায় করা টাকা ফিরে পাওয়াসহ প্রতারক ও পাচারকারী স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহামুদুর রহমান মোল্যা জানান, বর্তমানে উজ্জ্বল শিকদার তার বাবা-মা ও ভাইদের নিয়ে ইছামতি বাজার সংলগ্ন পাগলের মেলা প্রাঙ্গণের পাশে পাকা বাড়ি করে বসবাস করছেন। প্রতিদিন তার বাড়িতে বহিরাগত অনেক নারী-পুরুষকে আনাগোনা করতে দেখা যায়।
অভয়নগর থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, যশোর আদালত কর্তৃক মানবপাচার অপরাধ ও দমন আইনের ২০১২ এর ৬/৭/৮ ধারায় মামলার আসামি উজ্জ্বল শিকদারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে একটু বিলম্ব হচ্ছে।