শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

৪০০ বছর পর সবচেয়ে কাছাকাছি শনি-বৃহস্পতি

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০৩:০২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

মহাকাশে ঘটনাবহুল মাস চলতি ডিসেম্বর। এ মাসেই মহাশূন্যে দেখা গেছে উল্কাপাত, তারপর সূর্যগ্রহণ। তবে আজ সোমবার ২১ ডিসেম্বর মহাকাশে যা ঘটতে যাচ্ছে তা শেষবার হয়েছিল প্রায় ৪০০ বছর আগে। এক মহাজাগতিক অতিবিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী। সৌর জগতের দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দি। আজকের এই দিনে দুটি গ্রহ এতই কাছে চলে আসবে যে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে খালি চোখেও তা বোঝা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সৌরজগতের দুটি গ্রহ পরস্পরের খুব কাছাকাছি আসা নতুন কোনো ঘটনা নয়। বৃহস্পতি তার প্রতিবেশী গ্রহ শনির পাশ দিয়ে প্রতি ২০ বছর অন্তর যায়, তবে এতটা কাছ দিয়ে সাধারণত যায় না। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৬২৩ সালে। তখনো বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি জীবিত। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর ঘটনাটি ঘটেছিল। সে হিসেবে ৩৯৭ বছর পর আবার এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারবে বিশ্ববাসী।

নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজ সোমবার বৃহস্পতি ও শনি একে অন্যের থেকে মাত্র এক ডিগ্রির ১০ ভাগের এক ভাগ কাছাকাছি থাকবে। এই ঘটনা আবার ৬০ বছর পর, অর্থাৎ ২০৮০ সালে ঘটবে।

বিজ্ঞানীরা আরো বলেন, ৮০০ বছর আগে এই দুই গ্রহ এক সরলরেখায় এলেও শেষবার এত কাছে এসেছিল ১৬২৩ সালে।

ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ওয়েইনট্রাব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা একজন মানুষ তার জীবনকালে একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন গ্রেট কনজাংশন বা মহাসম্মিলন কিংবা মহাযুগলবন্দি। এই মহাজাগতিক ঘটনাকে ক্রিসমাস স্টার ২০২০ নাম দিয়েছে নাসা।

সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি সূর্যকে এক বার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় প্রায় ১২ বছর। আর শনি যেহেতু সূর্য থেকে অনেক বেশি দূরে থাকে, তাই তার কক্ষপথের পরিধি বৃহস্পতির কক্ষপথের পরিধির চেয়ে অনেক বেশি। আর তাই একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শনির লাগে প্রায় সাড়ে ২৯ বছর।