বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৩ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফরিদপুরে হুমকির মুখে নারিকেল কেন্দ্রিক পাঁচ শিল্প

নিউজ ডেস্ক

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ৪ মে ২০২১ মঙ্গলবার

অতিরিক্ত লাভের আশায় ডাব বিক্রির ফলে ফরিদপুরে দিন-দিন নারিকেল কেন্দ্রিক অন্তত পাঁচটি শিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। নারিকেল না পাওয়ায় জেলার সবকটি উপজেলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন কারখানা বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ডাব বিক্রির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় নারিকেল তেল শিল্প, নারিকেলজাত পণ্য, ছোবড়া শিল্প, মশার কয়েল ফ্যাক্টরি, কোকোডাস্ট এবং মালা শিল্প পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নারিকেলে নির্ভরশীল মানুষগুলো বেকার হয়ে যেতে পারেন।

স্থানীয় বড় বাজার খ্যাত কানাইপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আরিফুজ্জামান চাঁন বলেন, নারিকেল না পাওয়ায় জেলার সব কটি উপজেলায় ছোবড়া ও নারিকেল প্রসেসিং মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসব মিলে নারী-পুরুষ মিলে অন্তত ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করতেন।

কানাইপুর কারখানা শ্রমিক সেলিম জানান, নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে জাজিম, পাপোশ, রশি, সোফা ও চেয়ারের গদিসহ বিভিন্ন ধরনের শৌখিন ও প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করা হয়। বেডিং শিল্পেও ছোবড়ার ব্যবহার আছে। নারিকেলের মালা বা কোকোনাট শেল একটি বাই প্রডাক্টস। নারিকেলের মালা ব্যবহার করে মশার কয়েলসহ অনেক রকম পণ্য তৈরি হয়।

উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কানাইপুর বাজারের নারিকেল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, কোমল পানীয় হিসেবে অতীতে সব সময়ই কমবেশি ডাবের চাহিদা ছিল। কিন্তু চলতি বছরে করোনাসহ বিভিন্ন জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়ায় দেশব্যাপী প্রচুর পরিমাণ ডাবের চাহিদা তৈরি হয়েছে। চাহিদার সঙ্গে-সঙ্গে ডাবের দাম নারিকেলের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা এখন গাছ শূন্য করে ডাব বিক্রি করে ফেলছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী পরিচালক ড. হযরত আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের ডাব ও নারকেলে দুটোই প্রয়োজন। তবে ব্যাপক হারে ডাব বিক্রির ফলে নারকেলেরও যেন ঘাটতি না পড়ে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। একাধারে ডাব বিক্রি না করে নারকেল উৎপাদনের দিকটা বেশি খেয়াল রাখা উচিত।