শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে রোজিনার যত কালো অধ্যায়! 

নিউজ ডেস্ক

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০৮:৪৭ পিএম, ২০ মে ২০২১ বৃহস্পতিবার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি নথি চুরির কাণ্ডে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে বর্তমানে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এ ঘটনায় দেশের বুদ্ধিজীবী মহলেও ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তাদের আলোচনার মধ্যে বেরিয়ে আসছে সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভূত সম্পদ অর্জনসহ নানা কাহিনী। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের একজন প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী জানান, দেশের সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলকে অবৈধ দৈহিক সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তিনি সংবাদপত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেন। বুলবুলের অনুরোধেই রোজিনাকে প্রথম আলোতে সুযোগ দেন মতিউর রহমান। পরবর্তীতে বিএনপির আমলে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সঙ্গেও তিনি এমন সম্পর্ক তৈরি করে নানা সুবিধা হাতাতে থাকেন। পরবর্তীতে এই অবৈধ সম্পর্কের কথা প্রথম আলোর এনার্জি বিটের সাংবাদিক অরুন কুমার কর্মকার জেনে ফেললে ষড়যন্ত্র করে তাকেও চাকুরি থেকে বরখাস্ত করান। একইভাবে রোজিনা ইসলামের ষড়যন্ত্রে দৈনিক ইত্তেফাক থেকে চাকরিচ্যুত হন শ্যামল সরকার।

এছাড়া ২০১১ সালে বিএনপির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সুবিধা নিয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করেন। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব ব্যাংক এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। যদিও পরবর্তীতে কানাডার আদালতে প্রমাণ হয় যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি।

আবার বিগত স্বাস্থ্যসচিব আব্দুল মান্নানের সাথে সখ্যতা গড়ে অবৈধভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিনটি বড় কাজ পাইয়ে দেন তার স্বামীকে। একইভাবে অবৈধ উপায়ে রাজউক থেকে তিনি ও তার স্বামী মিঠু পূর্বাচলে ৫ কাঠার প্লট দুটি প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন। 

এমনিভাবে ঢাকার খিলগাঁও ও ধানমণ্ডি-১৫ তে দুটি ৭ তলা বাড়ি ও বনানীতে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটসহ প্রভূত সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে। 

তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করলে তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে সৃষ্ট বিভ্রান্তি, প্রকৃত তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দেশের সচেতন বুদ্ধিজীবী মহল।