শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বাঘারপাড়ায় বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

নিউজ ডেস্ক

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুরোগীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। অভিভাবকরা ঘরোয়া পরিবেশে শিশুদের ডায়রিয়ার চিকিৎসা করলেও রোগ ভালো হচ্ছে না। তাই তারা ছুটছেন হাসপাতালের দিকে। হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে শিশু রোগীদের ভিড়। এতে অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন।  

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময় জেলার সর্বত্র দেখা যাচ্ছে নানা রোগের প্রকোপ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে শিশুদের ডায়রিয়া। কিন্তু ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য তেমন কোনো ওয়ার্ড বিভক্ত করা নাই। নারী ও শিশু রোগীদের জন্য যৌথভাবে ১৪ শয্যার একটি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি শিশু রোগীর সংখ্যা ৩০ জনের ওপরে। যা শয্যা সংখ্যারও দ্বিগুণ। ফলে শয্যার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে অধিকাংশ রোগীর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল বারান্দা ও মেঝেতে। ফলে অতিরিক্ত রোগীর এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও সেবিকারা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। ফলে স্বাস্থ্যবিধিও বিঘ্নিত হচ্ছে। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন শিশু রোগীদের। মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় রোগী ও স্বজনেরা গাদাগাদি করে রয়েছেন। 

ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স মারিয়া খাতুন বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরেই শিশু রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়াতে সেবা দিতে অনেকটা হিমসিম খেতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা ৭ জন সেবিকা কীভাবে এত রোগীর সেবা দিবো। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি 

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে যে পরিমাণে রোগীর চাপ বেড়েছে সেই তুলনায় আমাদের লোকবল কম। তাই এত রোগীকে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টি, গরম ও ঠান্ডার কারণে রোগীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, রোগীর চাপ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে। এ সময় অভিভাবকদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বাচ্চাদের প্রচুর তরল ও ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার দিতে হবে। বাচ্চা ঘেমে গেলে জামাকাপড় পরিবর্তন ও ঘাম মুছে দিতে হবে। তাহলে শিশুদের রোগে আক্রান্তের আশঙ্কাটা অনেকটা কমে যাবে।