বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৩ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

আশরাফুল-নাসিরকে ডাকাই হলো না বিপিএলের নিলামে

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সোমবার

বিপিএলের ২০২১-২২ মৌসুমে দল পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম পোস্টার বয় মোহাম্মদ আশরাফুলের। সেই দুর্ভাগার তালিকায় আছেন নাসির হোসেন ও আলোচিত লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। 

আশরাফুল-নাসিরের নাম বিপিএলের ড্রাফটেই ওঠেনি। আর আমিনুলের নাম তুললেও এই লেগির প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এছাড়া দল পাননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তরুণ তুর্কি তানজিদ হাসান তামিম।

বিপিএলে যে ক’জন বাংলাদেশির সেঞ্চুরি রয়েছে, আশরাফুল তাদের একজন। ২০১৩তে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের বিপক্ষে ১০৩* রানের ইনিংস খেলেন তিনি। 

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ২০১৯-এ ষষ্ঠ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসে সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু সপ্তম আসর ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’-এ দল পাননি।

৩৭ বছর বয়সী আশরাফুল ব্রাত্য থেকে গেলেন এবারো। যদিও সর্বশেষ ঘরোয়া টি- টোয়েন্টি লিগে শেখ জামালের হয়ে মোটামুটি ভালোই খেলেছিলেন তিনি। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকলেও তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কেউ।

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন নাসিরও। এক সময় ‘ফিনিশার’ খেতাব পাওয়া নাসিরের ক্যারিয়ারটাই ফিনিশ হওয়ার পথে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর এই ফরম্যাটে দেখা যায়নি নাসিরকে। টেস্ট ও ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন ২০১৭তে। মাঠের বাইরে নানান বিতর্কেই এখন খবরের শিরোনাম হন ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

লেগ স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কত কথা, কত প্রতিশ্রুতি! ঘরোয়া লীগে প্রতি দলে একজন করে লেগি নেয়া বাধ্যতামূলক করা হলো। বিপিএলেও লেগস্পিনার খেলানোতে জোর দিয়েছেন বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির নতুন প্রধান জালাল ইউনুস। এতকিছুর পরেও লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের জায়গা হয়নি কোনো দলে।

অথচ কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন ২২ বছর বয়সী বিপ্লব। খুব যে মন্দ বোলিং করেছেন তা নয়। প্রথম ম্যাচে উইকেটহীন থাকলেও পরের দুই ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন বিপ্লব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০ ম্যাচে ১৯.৮৩ গড় ও ৭.৫৯ ইকোনমিতে বিপ্লবের শিকার ১২ উইকেট। বাংলাদেশের কোনো লেগস্পিনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা আমিনুলের বাদ পড়ার ব্যাখ্যা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোই দিতে পারবে।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা আমিনুল দল না পেলেও অন্য দুই লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন ও রিশাদ আহমেদের ভাগ্য ভালো, তারা দল পেয়েছেন। যদিও রিশাদ প্রথমে উপেক্ষিত ছিলেন। ১০ জন করে খেলোয়াড় নেয়ার পর বিসিবির অর্থায়নে গড়া দল ঢাকা রিশাদকে দলে নেয়। লিখনের ঠিকানা সিলেট সানরাইজার্স।

যুব বিশ্বকাপজয়ী তানজিদ হোসেন তামিমের দল না পাওয়াটাও দুঃখজনক। জাতীয় দলের একজন ভবিষ্যত ওপেনার নিজেকে বিকশিত করার সুযোগ হারালেন। ‘হার্ড হিটার’ ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি পাওয়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার আনিসুল ইসলাম ইমনও দল পাননি। এছাড়া দল পাননি পেসার আবু জায়েদ রাহী ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওপেন করা সাইফ হাসানও।  

আলোচিত যারা দল পাননি বিপিএলে: তানজিদ হাসান তামিম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, সাইফ হাসান, জাকির হাসান, নাসির হোসেন, জুনায়েদ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আশরাফুল, এনামুল হক জুনিয়র, আনিসুল ইসলাম ইমন, হাসান মুরাদ, শাহাদাত হোসেন দিপু, শাহাদাত হোসেন রাজিব, তানবীর হায়দার, সোহরাওয়ার্দী শুভ।