শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

মহাসড়কের পাশে ময়লায় ভাগাড়, দুর্গন্ধে অস্বস্তিতে কেশবপুরের জনগণ

নিউজ ডেস্ক

যশোরের আলো

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২২ রোববার

যশোর ভায়া কেশবপুর সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে কেশবপুর পৌরসভার ময়লায় ভাগাড় তৈরি করার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ন পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মিরা ভ্যানে ও ট্রাকে করে বাজার কুড়ানো আবর্জনা, ক্লিনিক, হাসপাতাল ও কসাই খানার দুষিত বর্জ এই ভাগাড়ে ফেলছে । এর ফলে বর্জের পচা গন্ধে আশ-পাশের পরিবেশ দুষিত হয়ে উঠেছে। ভাগাড়ের চারপাশে ফসলি জমি, মাছের ঘের, বসত বাড়ি, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা থাকলেও দেখার কেউ নেই। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারি চলাচল করে।

যশোর-সাতক্ষীরা ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা শতশত যাত্রীবাহী বাস, ঢাকাগামী পরিবহন, মালবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার পথে ভাগাড়ের দুর্গন্ধ যুক্ত মিশ্রিত বাতাস গ্রহনে তারা ডায়রিয়া চর্মরোগসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

কেশবপুর পৌরসভায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। এই পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা তবে এখানে বসবাসরত নাগরিকরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও পৌর করের জাতাকলে পিষ্ট হচ্ছেন পৌরবাসী। কোন রকম মূল্যায়ন ছাড়াই গত ৭ বছরে পৌরকর বৃদ্ধি করা হয়েছে কয়েক গুণ। বাড়েনি পৌরসভার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। পৌরসভায় সেবা নিতে গেলে পদে পদে পৌরবাসীকে নাজেহাল হতে হয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তার বেহাল দশা, ড্রেন এবং প্রায় সড়কে রোড লাইট না থাকলেও কর আদায় করা হচ্ছে যথারীতি। এদিকে শহরের প্রায়ই স্থানে ময়লার স্তুপে সয়লাব থাকে। তাছাড়া কেশবপুর সদরের মধ্যকুল নামকস্থানে যশোর-সাতক্ষীরা মহা সড়কের সাথে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়ের দুষিত বর্জের গন্ধে নাভিশ্বাস উঠেছে পথচারিদের।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ ইং সালে তৎকালিন সরকার কেশবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের কিছু এলাকা নিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে কেশবপুর পৌরসভা ঘোষণা করেন।

একাধিক পথচারি ও ভ্যান চালক আতিয়ার, রহমত, রাজ্জাক বলেন, এই সড়ক দিয়ে চলাচলে ময়লার ভাগাড় পার হওয়ার সময় ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড দমবন্ধ করে ভাগাড় পার হতে হয়। তখন আমাদের অনেক কষ্ট হয়।

পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মধ্যকুল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় করার কারণে সন্ধার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কুকুরের দাপটে বাজার থেকে বাড়ি ফেরা এবং ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে লাঠি হাতে মসজিদে যাওয়ার সময় অনেক দিন আমাকে ধাওয়া করেছে। তখন প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে হয়।

স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাসহ পথচারিরা পৌর ভাগাড়টি অন্যত্র হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পৌরসভার সচিব মোশারাফ হোসেন বলেন, ময়লার ভাগাড়ে ময়লা ফেললে দুর্গন্ধ তো একটু হবেই। তবে বর্জ রিসাইকিলিং কারর জন্য একটি প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে। তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

কেশবপুর পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর সুজয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ময়লার ভাগাড়ের ব্যাপারে আমার কোন বক্তব্য নেই।