শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
৬০৩৬

অনলাইনে যেভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করবেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

অনলাইনেও সার্টিফিকেট সংশোধন করা যায়। দালালের ঝামেলা এড়াতে অনলাইনে সংশোধন করাটা বেশ ভাল। অনলাইনে হাতে ফরম পূরণের ঝামেলা নেই তাই অনলাইন করাটা সুবিধাজনক।

নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে। প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে।

হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।

এ দুটি কাজ সম্পাদন করার পর যেই স্কুল বা কলেজে লেখাপড়া করেছেন সেটির সাহায্য লাগবে। (অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই)

এবার উপরে উল্লেখিত দুটি কাগজ ও আপনার বাবা-মায়ের নাম সংশোধন হলে উনাদের সার্টিফিকেট বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড/আপনার নিজের হলে জন্ম সনদ নিয়ে সরাসরি আপনার প্রতিষ্ঠানে চলে যান। এ কাজটি আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন না। কারণ এটি কলেজের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে করা হয়।

অনলাইনে সার্টিফিকেটের নাম সংশোধনের খরচ : পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ৩০০ টাকা। নোটারি পাবলিক ৫০০ টাকা। আবেদেন ফি ১১১৬ টাকা (এসএসসি ও এইচএসসি)। সার্টিফিকেট উত্তোলন ফি ১১১৬ টাকা (২টি) (কমবেশি হতে পারে)।

এই কাগজগুলো প্রস্তুত করে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জানান। উনি আপনার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার অপারেটরকে অনলাইন আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেবেন। তখন তিনি ডুকুমেন্ট স্ক্যান করে আবেদন করে দেবেন এবং ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে সঙ্গে সঙ্গে। তারপর সোনালী ব্যাংকে আবেদন ফি জমা দেয়ার জন্য একটা রশিদ দেবেন। ৫৫৮ টাকা জমা দিতে হবে (প্রতিটির জন্য)। টাকা জমা দেয়ার পর রশিদ অবশ্যই যত্ন করে রাখতে হবে। আবেদন ফি জমা না দিলে আবেদন গৃহীত হবে না। আবেদন ফি জমা করার পর এডুকেশন বোর্ডের ওয়েবসাইটে আলাদা একটা প্রোফাইল ক্রিয়েট হবে।

(লগ ইন লিংক: https://efile.dhakaeducationboard.gov.bd/index…/…/lastupdate )

সেখানে লগ ইন করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। টাকা জমা দেয়ার পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৩ মাস বা এর বেশি সময় লাগতে পারে। যখন কাজ শেষ হবে তখন ফোনে ম্যাসেজ চলে আসবে এবং প্রোফাইলে লগ ইন করলে সেখানে নতুন একটা অপশান আসবে ‘ডুকুমেন্ট উত্তলন’। সেই অপশনে গিয়ে ডকুমেন্টস উত্তোলনের আবেদন করবেন। 

এবার কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এখন সাইটে লগ ইনের জন্য যে পাসওয়ার্ড আছে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে যেই ডকুমেন্ট উত্তোলন করতে চান সেটার জন্য ঘরে বসে আবেদন করুন৷ আবেদন করার পর উত্তোলন ফি বাবদ ৫৫৮ টাকার সোনালি ব্যংকে পে করার জন্য একটা ডকুমেন্টস পেয়ে যাবেন। সেটা নিয়ে ব্যাংকে যান। আগের মতোই ফি জমা দিন। কাজ শেষ, এবার ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

তারপর ফোনে ম্যাসেজ পাবনে ডকুমেন্টস রেডি। তখন প্রোফাইলে লগ ইন করে উত্তোলন করার চূড়ান্ত ডকুমেন্টস আছে সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এরপর শিক্ষা বোর্ডে অরিজিনাল সার্টিফিকেট জমা দিন। এর পর দিন আবার অফিসে গিয়ে চূড়ান্ত ডুকুমেন্টস ও ব্যাংকে যে ফি জমা দিয়েছেন সেটার মূল কপি জমা দিয়ে বুঝে নিন নতুন সংশোধিত সার্টিফিকেট।

যদিও প্রক্রিয়াটা একটু সময় সাপেক্ষ। তবুও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজ নিজে করতে পারছেন। সেই সঙ্গে দুর্নীতি করিয়ে ফাইল এহাত ওহাত করার সুযোগ লাগছে না। এভাবে প্রতিটি মানুষ সচেতন হলে দুর্নীতি কমে আসবে। প্রতিটা সরকারি দফতর হবে দুর্নীতিমুক্ত।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো