শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
৫১৮৭

‘আগুন-সন্ত্রাস বিএনপিকে ভস্মীভূত করেছে’ তারেককে খালেদা জিয়া

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২০  

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১২ নভেম্বর রাজধানীর ৯টি পয়েন্টে বাসে আগুন দেয় বিএনপির কর্মীরা। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের ফাঁসকৃত ফোনালাপে পরিষ্কারভাবে দলীয় কর্মীদের বাসে আগুন দেয়ার বিষয়ে জানা যায়। এদিকে সূত্র বলছে, নতুন করে অগ্নি সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করা নিয়ে বেদম ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।

একাধিক গোপন সূত্র বলছে, সরকারের মহানুভবতায় দ্বিতীয় মেয়াদে ৬ মাসের সাময়িক মুক্তি পেয়ে রাজধানীর গুলশানের ভাড়াবাড়ি ফিরোজায় অবকাশ জীবন যাপন করছেন বেগম জিয়া। মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি বিএনপির কোনো ধরনের রাজনীতির সাথে জড়িত নন, এটি শোনা গেলেও এখনও বিএনপির কলকাঠি নাড়ছেন বেগম জিয়াই। তিনি চান না বিএনপি পুনরায় ক্ষমতার লোভে অগ্নি সন্ত্রাস, হত্যার রাজনীতিতে ফিরুক। প্রচলিত রাজনীতি করেই তিনি বিএনপিকে শক্তিশালী করতে চান। সেজন্য দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে রাজি বেগম জিয়া। কিন্তু তারেক রহমান বেগম জিয়ার এমন ধীরে চলা নীতিতে বিশ্বাসী নন। তাই বিএনপিকে চাঙ্গা করতে পুনরায় অগ্নি সন্ত্রাস, হত্যা ও ভীতিকর রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে চান। কিন্তু বেগম জিয়া তারেক রহমানের এমন কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

জানা গেছে, তারেক রহমানের ইন্ধনে ১২ নভেম্বর রাজধানীতে বাসে আগুন দেয় যুবদলের কর্মীরা। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বেগম জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিশেষ করে বেগম জিয়া চান না অহেতুক অপকর্ম করে সরকারকে খেপিয়ে তুলতে। এতে তার সাময়িক মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং তিনি পুনরায় জেলে যেতে পারেন-এমন শঙ্কা থেকেই ১২ নভেম্বর রাতে ফোন করে তারেককে এমন বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য ধমকান। দুজনের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক ফোনালাপ হয়। এসময় বেগম জিয়া ও তারেকের মধ্যে ব্যাপক তর্কাতর্কি হয় বলে জানা গেছে।

তারেক বলেন, তাঁর (বেগম জিয়ার) ভুল ও ভীতু সিদ্ধান্তে বিএনপি আজ মৃতপ্রায়। তিনি বিএনপির ক্ষমতা ছাড়তে চান না। এসব শুনে বেগম জিয়া চরম ক্ষুব্ধ হন এবং তারেককে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে বলেন। বেগম জিয়া বলেন, ‘আছো তো বিদেশে, আরাম-আয়েশে জীবন কাটাচ্ছো। দেশের অবস্থা কিছু তো জানো না। তোমার ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সিনিয়র নেতারা খেসারত দিচ্ছেন। অনেককে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। হুকুম দিলেই নেতা হওয়া যায় না। নিজে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরো, নেতাদের তো খোঁজও নাও না। আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করো। এই আগুন সন্ত্রাসের কারণে বিএনপি আজ ভস্মীভূত হয়েছে। এভাবে রাজনীতি করার চেয়ে পদ ছেড়ে দাও। আমি মির্জা ফখরুলকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানাতে চাই।’ বেগম জিয়ার এমন কটু কথা শুনে মাথা গরম হয়ে যায় তারেকের। এক পর্যায়ে তিনি রাগ করে ফোন কেটে দেন বলেও জানা গেছে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর