শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
৪০১

উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারের বিরুদ্ধে নতুন করে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদানকৃত ১০ ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

২৯শে জুন পাওয়া লিখিত অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. এমদাদুল হক ও সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক এমএম আনিছুর রহমান।

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার ২০১৭/১৮ অর্থবছরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার, শিমু সুলতানা, তানজিনা রাসেল, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি ইসলাম, ২০১৮/১৯ অর্থবছরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানজিনা রাসেল, সুরাইয়া শারমিন ঐশী, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন, সামিরা আক্তার নূপুর, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া খাতুন ও সাদিয়া ইসলামের উপ-বৃত্তির ১৯ হাজার ২৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহম্মদ স্কুল পরিচালনা কমিটি বরাবর গত ১৪ই সেপ্টম্বর বিঅ ৬/৬৮৪৩/৭৬৭ নং স্মারকে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারকে শাস্তি দিতে চিঠি দেন। 

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার ১০ জন শিক্ষার্থীর টাকা উত্তোলন করে নিজের কাছে রেখেছেন, যা আত্মসাতের শামিল। প্রধান শিক্ষকের এই শাস্তিযোগ্য অপরাধে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে যশোর শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। অভিযোগ উঠেছে, যোগদানের পর থেকেই প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার স্কুলের নানা ফান্ডের টাকা তছরুপ করেন। প্রতিবাদ করে অনেক শিক্ষক দুর্ব্যবহারের শিকার হন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদার সাংবাদিক ও স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্র্ণ পোস্ট দিয়ে ডিজিটাল আইনে মামলায় ঝুলে স্কুল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন। 

এ সব বিষয়ে স্বুলের সভাপতি তৈয়েবুর রহমান খান জানান, প্রধান শিক্ষক ছাত্রী উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর কি নেব? তিনি তো সাময়িক বরখাস্ত আছেনই। আমি প্রধান শিক্ষককে বলেছি এই টাকা স্কুলের নয়, সরকারি। এটা সরকারি ফান্ডে তাকে আমি ফেরত দিতে বলেছি। তিনি বলেন, আমরা যশোর শিক্ষা বোর্ডের এই চিঠির জবাব অচিরেই দেবো। 

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ারদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর