শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসছেন কাতারের আমির যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান
১৫৮

ছদ্দবেশে সাংবাদিকরা কাজ করছেন মিয়ানমারে

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মিয়ানমারে মানবাধিকারকে পিছনে ফেলে জনসাধারণের বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করছে সামরিক বাহিনী। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের জন্য সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করছে সেনাবাহিনী। তাই সাংবাদিকদের কাজ করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে। 

সামরিক বাহিনীর কঠোর নজরে পড়েছে মিডিয়াকর্মী এবং সাংবাদিকরা। গত মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোপন আস্তানা থেকে একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দিয়ে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান ইয়াঙ্গুনের মিজিমা নিউজের প্রধান সম্পাদক সোয়ে মিন্ট এবং দ্য ইরাবতি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আং চ। আলোচনা সভার আয়োজক ছিল হনুলুলুর ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টার।

সোয়ে জানান, 'বিক্ষোভের মধ্যে সাদা পোশাকের গুপ্তচর পুলিশ ঢুকে গিয়ে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা তৈরি করছে। রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের।' 

তিনি আরও বলেন, 'বহু সাংবাদিক অফিসে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। পরে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আটক করে নির্যাতন চালানোর পর।' 

সোয়ে মিন্ট বলেন, 'সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় গুপ্ত-হামলা। দুষ্কৃতিকারীদের দিয়ে দল তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। তাদের হাতে থাকছে লোহার রড বা লাঠি। সাংবাদিকরা যখন ছবি তুলছেন বা খবর সংগ্রহ করছেন, পেছন থেকে তাদের ওপর হামলা করছে এরা।'

মিয়ানমারের সাংবাদিক-সম্পাদকরা মনে করেন, সে দেশে স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলনের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। সামরিক শাসনে থাকার অভ্যাস সে দেশের মানুষের রয়েছে। কিন্তু সীমিত আকারের হলেও গণতন্ত্রের স্বাদ তারা পেয়েছেন। সেই গণতান্ত্রিক অভ্যাস থেকে আবার তাদের মিলিটারি বুটের নীচে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

সোয়ে মিন্ট বলেন, 'গণতন্ত্র যে একটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ছিনতাই হয়ে যাওয়ার পরে মানুষের টনক নড়েছে। ইন্টারনেটের কথাই ধরুন, ছেলেরা এত দিন তো এটাকে গেম খেলায় বুঁদ হয়ে থাকা আর টিকটক-এ হাসি-মস্করার উপাদানের বাইরে কিছু ভাবেনি। সেই ইন্টারনেট আজ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার।'

সূত্র: আনন্দবাজার

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর