শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ একীভূত হচ্ছে যশোরের ১৬টি সরকারি বিদ্যালয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পরিকল্পিত শিল্পায়ন করতে হবে ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
১৭০

ঝড়ের গতিতে ছুটছে দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোল!

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২১  

পৃথিবীর বাইরের জগত নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। চলছে গবেষণাও। এরইমধ্যে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির কেন্দ্রের কাছাকাছি যার ঘাপটি মেরে বসে থাকার কথা রাশি রাশি খাবারের জন্য, সেই দৈত্যাকার ‘ব্ল্যাক হোল’ বা কৃষ্ণগহ্বরকে এবার ঝড়ের গতিতে ছুটতে দেখা গেল। ছায়াপথের মধ্যেই এই প্রথম।

সেই ছায়াপথের নাম ‘জে০৪৩৭+২৪৫৬’। সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ২২ কোটি ৮০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে।

এ ব্যাপারে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষকরা দেখেছেন, এই গ্যালাক্সির দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটি ছুটছে দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে। সেকেন্ডে প্রায় ৪ হাজার ৮১০ কিলোমিটার গতিবেগে (বা সেকেন্ডে ২ হাজার ৯৯০ মাইল)। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ।

যেকোনো ছায়াপথই ভরা থাকে হাইড্রোজেন গ্যাসে। সেই গ্যাসের মেঘ থেকেই তারাদের জন্ম হয়।

গবেষকরা দেখেছেন, ছায়াপথের দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরটি যেমন ঘাপটি মেরে কেন্দ্রের কাছাকাছি বসে না থেকে ছুটছে, তেমনই সরে সরে যাচ্ছে হাইড্রোজেন গ্যাসের মেঘ। তার গতিবেগ আরও বেশি। সেকেন্ডে ৪ হাজার ৯১০ কিলোমিটার।

যে বিষয়টি আরও অবাক করে দিয়েছে গবেষকদের তা হলো— ছায়াপথের গতিবেগ যা, তার সঙ্গে মিল নেই দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলের গতিবেগের।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডোমিনিক পেসকে বলেছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, গতিবেগ সমানই হবে। কিন্তু তা নয়। তাই ধরেই নেওয়া যায় কোনো কারণে অস্থিরমতি হয়ে পড়েছে ছায়াপথের দৈত্যাকার ব্ল্যাক হোলটি।’

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো