শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
২৮০

ঝিকরগাছার আ’লীগ কর্মী হুমায়ুন হত্যা মামলার চার্জশিট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২০  

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কর্মী হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৩ জনসহ ২০ জনকে আসামী করে তৃতীয়বারের মতো চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক হারুন-অর-রশিদ।

এর আগে উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামে আলোচিত হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার ডিবি ও পিবিআই তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ১৩ আসামিকে বাদ দিয়ে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল।

তৃতীয় দফায় দেয়া চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- কুন্দিপুর গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে নাভারণ আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির কেরানী ফজলুর রহমান ফজা, মৃত শুকুর আলীর ছেলে হাফিজুল হক ঝন্টু, ইউনুস আলীর দু’ছেলে বাশার, শাহারুল, আলমগীর মোড়লের ছেলে বাবলুর রহমান, মৃত সামছের আলীর দু’ছেলে রফিকুল, শরিফুল, মৃত মনার ছেলে একরামুল, মৃত এছেম গাজীর ছেলে আলমগীর, মৃত গোলাম নবীর দু’ছেলে মোজাম্মেল হক খোকা, লিটন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোহন, মৃত কওসার আলীর ছেলে রুবেল, শার্শার পাঁচপোতা গ্রামের জব্বার মোড়লের ছেলে আনিছুর রহমান, খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, জিড়েনগাছার মৃত ইবাদ আলীর ছেলে আব্দুল কাদের, পারবেড়াইপানি গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম লাট, বায়সা গ্রামের মোশারেফ মোড়লের ছেলে বজলুর রহমান টিটু, কেরামত আলীর ছেলে আলামিন ও শুকুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, কুন্দিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ফজলুর রহমানসহ অন্যদের গোলযোগ ছিল। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে আব্দুর রাজ্জাক বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগে ফজলুর রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্যে আসামিরা হুমকি দিয়ে আসছিল রাজ্জাক ও তার পবিরারের সদ্যস্যদের। ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেলে আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা হুমাযুন কবির পাঁচপোতা বাজারে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে হুমায়ুনকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। পরদিন গভীর রাতে পুলিশের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচপোতা সড়কের নিয়ামত আলীর কলাবাগান থেকে হুমায়ুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন নিহতের ভাই আওরঙ্গজেব ১৩ জনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। এ মামলার তদন্তকালে এজাহারভুক্ত ১২ আসামি পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেন। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে ২০১৭ সালের ৯ মার্চ সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তিনি। চার্জশিটে এজাহারভুক্ত ১৩ জনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। মামলার বাদী আওরঙ্গজেব এ চার্জশিটের উপর আদালতে নারাজি আবেদন করেন।

২০১৭ সালের ১৭ আগস্ট আদালত নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুণরায় তদন্তের আদেশ দেন পিবিআইকে। পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর একই চার্জশিট জমা দেন। আবারও পিবিআই চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত এ আবেদনের শুনানি শেষে দ্বিতীয়বারের মতো সিআইডি পুলিশকে তদন্তের আদেশ দেন। 

সিআইডি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা স্বাক্ষীদের দেয়া বক্তব্য ও আসামিদের দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই শেষে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামিসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। চার্জশিটে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান ও জাহাঙ্গীরকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
 

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর