শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
১২১

‘দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন শেখ হাসিনা’

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বাবা-মা, পরিবার-পরিজন হারিয়েও নিজের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে সঁপে দিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে জীবননাশের হুমকি নিয়েও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনকে সামনে রেখে এক বিশেষ ওয়েবিনারে এমন কথাই ব্যক্ত করেছেন আলোচকবৃন্দ। ২৬ সেপ্টেম্বর ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।

রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি এমপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৮১ সালে যে দিন শেখ হাসিনা এদেশে আসলেন সেদিন ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে বরণ করেছি সেদিন, যেদিন আমাদের সব আছে কিন্তু তার মা নেই বাবা নেই, ভাই নেই। তবুও তিনি এদেশের মানুষের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছেন, একই সাথে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কথা বলার অধিকার দিয়েছেন। দিয়েছেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা তখন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন। ১৯৮১ সালের পর দেশে এসে নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে আগলে রেখেছেন আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, সংগ্রামী জীবন শেখ হাসিনা একদম পরিবার থেকে দেখে এসেছেন। বাবা মায়ের সংগ্রামের যে মূল লক্ষ, মানুষের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা তা শেখ হাসিনা পরিবার থেকে ধারণ করেছেন। সকল ঝুঁকি জেনেও তিনি দেশে এসেছেন। বাংলার মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন। বাংলাদেশের মানুষও সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসায়। সব রকম শঙ্কা নিয়েও তিনি নিজের ভাগ্যের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন। এর কারণে নিজের জীবন তিনি বিপন্ন করেছেন। গর্বের সহিত বলতে চাই, আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখি নাই, কিন্তু আমরা শেখ হাসিনাকে দেখেছি। তরুণদের কাছে বলতে চাই ইতিহাস জানো। যেই শিশুটি আজ জন্মাবে তাকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে হবে।

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন না তিনি রয়েছেন মানবধর্মে। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমাদের পৌঁছে দিবেন।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর