বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৩ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
২৬ দিনের ছুটি পাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ভায়াডাক্ট স্থাপন শুরু চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের সংখ্যা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন
২৩৪

নতুন রূপে সাজছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় কিচিরমিচির করছে পাখি। নানা জাতের পশুপাখির কলরবকে রাঙিয়ে তুলছে বাঘের গর্জন। দর্শণার্থীর মন জুড়াচ্ছে সিংহের দৌড়াদৌড়ি। হরিণের খেলাধুলায় বিমোহিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর রঙিন সিঁড়ি। আনন্দের দ্যুতি ছড়াচ্ছে সিঁড়িতে ব্যবহৃত রঙের বাহার। ফলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার। পেয়েছে নতুন অবয়ব।  উন্নয়ন হয়েছে অবকাঠামোর। দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক হচ্ছে পুরো আঙিনা। সম্পন্ন হয়েছে নানা সৌন্দর্যবর্ধন কাজ। বেড়েছে পরিধি।

সম্পূর্ণ নতুন রূপ পেয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। শিগগিরই সৌন্দর্যবর্ধন অংশ উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হবে। জানা যায়, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সৌন্দর্যবর্ধনে পাহাড়ের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি  করা হয়েছে বড় আকারের তিনটি সিঁড়ি। সিঁড়িগুলোর দৈর্ঘ্য হাজার ৪৯৪ ফুট। একই সঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে চিড়িয়াখানার আয়তন। সম্প্রসারণ করা হয় বাঘের খাঁচা। আগে বাঘের খাঁচা ছিল প্রায় ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের। এখন করা হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকিট বিক্রির অর্থে মোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৭ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে বলে জানা যায়। চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ এবং সুন্দর চিড়িয়াখানা।

২০১৫ সালের পর থেকে চিড়িয়াখানার আমূল পরিবর্তন শুরু হয়। যোগ করা হয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিণসহ বিভিন্ন প্রাণী। গত প্রায় ছয় বছরে টিকিট বিক্রির অর্থে মোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৪৭ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে এটি কেবল একটি চিড়িয়াখানা নয়, এখানে মাত্র ৫০ টাকার টিকিটে বহুমাত্রিক আনন্দ উপভোগ করা যায়। এর মধ্যে আছে নানা প্রজাতির পশুপাখির সমাহার, শিশুদের জন্য পৃথক কিডস জোন, সমৃদ্ধ পক্ষীশালা, নান্দনিক সিঁড়িগুলোতে বসে পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদ অবগাহনসহ নানা আনন্দ উপভোগ করা যাচ্ছে। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন।

দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ইনকিউবেটরে অজগরের ২৬টি বাচ্চা ফোটানো হয়েছে এ চিড়িয়াখানায়। করোনাকালে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর শতাধিক প্রাণী। চিড়িয়াখানায় আছে দেশের একমাত্র দুর্লভ সাদা বাঘ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী। আছে জেব্রা, সিংহ, হরিণ, ভালুক, বানর, কুমির। আছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ ফুট প্রস্থের পক্ষীশালায় আছে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। পাখির মধ্যে আছে লাভ বার্ড ২০  জোড়া, লাফিং বার্ড ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পারোট ১০ জোড়া, কোকাটেইল ৫০ জোড়া ও ম্যাকাও ১ জোড়া। শিশুদের জন্য তৈরি করা হয়েছে কিডস জোন। দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ পথগুলো। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৩৬০ প্রজাতীর প্রাণী আছে। 

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর