মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৪ ১৪৩০   ০৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃত বেড়ে ১০ এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বাড়ছে আতঙ্ক মানুষকে সচেতন করতে না পারলে হাসপাতাল করে প্রাণ বাচাঁনো যাবে না শুভেচ্ছা দূত হয়ে বাংলাদেশে এলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
২৪২

যশোরে মাদক মামলায় নারীর ব্যাতিক্রমী সাজা!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

যশোরে মাদকের এক মামলায় পারভীন (৩৮) নামে এক নারীকে ব্যাতিক্রমী সাজা দিয়েছেন আদালত। দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত এই নারীকে বইপড়াসহ সাতটি শর্তে বাড়িতেই বসবাসের নির্দেশ দেয় আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমন ব্যাতিক্রমী রায় ঘোষণা করেন যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস।

সাজাপ্রাপ্ত পারভীন শহরের আশ্রম রোডের গাড়োয়ান পট্টির মৃত ওহাব মুন্সির মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৫ জুন আসামি পারভীনকে আটক ও তার কাছ থেকে ২০ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৫ বছর আদালতে নিয়মিত হাজির হয়ে আসছিলেন তিনি। এ মামলা ছাড়া তার আর কোনো মামলাও নেই। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হয়। আসামির সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে নির্ধারিত শর্তে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।

শর্তগুলো হলো- ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা জাহানারা ইমামের একাত্তরের দিনগুলি, নীলিমা ইব্রাহিমের আমি বীরাঙ্গনা বলছি, মালেকা বেগমের মুক্তিযুদ্ধে নারী, মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আনিসুল হকের মা, জহির রায়হানের আরেক ফাগুন, একুশের গল্প, সেলিনা হোসেনের নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি ও যাপিত জীবন, শওকত ওসমানের আর্তনাদ ও সৈয়দ সামসুল হকের আরও একজন এ দশটি বই পাঠ করতে হবে।

প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে প্রবেশন যেকোনো সময় আদালত কর্তৃক বাতিল হবে এবং দোষী সাব্যস্ত করে মূল অপরাধের জন্য ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে অন্তরীন থাকতে হবে।

একই সাথে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থেকে কোন প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়ানো যাবে না। সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং সকলের সাথে সদাচরণ করতে হবে। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করলে শাস্তি ভোগ করবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হতে হবে। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবে না। আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবন ধারণের উপায় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। এই সময়কালীন প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ব্যতীত নিদিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবে না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালতের সরকারি কৌশলী (এপিপি) আইয়ুব খান বাবুল।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর