শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
২৭৯

রাজনীতি ছেড়ে সম্পদ সামলাতেই ব্যস্ত বিএনপি

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২০  

একাধিক দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে খালেদা জিয়া দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও বিভিন্ন মামলার দণ্ড মাথায় নিয়ে রয়েছেন লন্ডনে পলাতক। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজনীতি ছেড়ে যার যার সম্পদ সামলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে, দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না তারেক। আর খালেদা ও তারেক এক নন। বিএনপির রাজনীতিতে কোনোদিনই খালেদার জায়গা নিতে পারবে না তারেক। কারণ তারেকের কাছে রাজনীতি মানেই অর্থের লেনদেন।

তারা বলেন, অতীতের নানা ভুল-ভ্রান্তির কারণে বিএনপি এখন রাজনীতির মূল স্রোত থেকে হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের চরম অভাব রয়েছে। দল ও দলীয় নেত্রীর প্রতি তারা কেউই অনুগত নন। আর এ কারণেই খালেদা জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করতে পারেননি বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সরকারের বিশেষ কৃপায় সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন তিনি। 

তাদের মতে, খালেদা জিয়া নিজেকে আপোষহীন দাবি করলেও বিএনপি নেতারা আপোষ করতে ভালোবাসেন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ বিএনপির নেতারা এখন যার যার সহায়-সম্পদ সামলাতেই ব্যস্ত। তারা দল ও দলীয় নেত্রীর প্রতি আর নিবেদিত নন বলেই মনে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সময়ের বিএনপির শীর্ষ ও প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বুঝতে পেরেই নীরবতা পালন করছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। দেশের রাজনীতিতে বিএনপি অপশনাল হয়ে পড়েছে, সেটি বুঝতে পেরেই উচ্চবাচ্য করতে রাজি নন মির্জা ফখরুলরা। 

সাজার কারণে খালেদার রাজনীতি করা সুযোগ নেই। আবার লন্ডনে বসে দলকে সঠিক নির্দেশনাও দিতে পারছেন না তারেক। নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে প্রায় দিশেহারা বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তাই রাজনীতি ছেড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যার যার সম্পদ ও আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া তারেককে দিয়ে কাজের কাজ কিছুই না হওয়াতে তার স্ত্রী বা কন্যাদের নেতৃত্বে এনে বিএনপিকে চাঙ্গা করার গুঞ্জন দলের মধ্যে রয়েছে। তবে লন্ডনে আয়েশি জীবন ছেড়ে দেশে এসে ভঙ্গুর বিএনপিকে সংগঠিত করার মতো পরিশ্রম করতে রাজি হবেন না তারেক পরিবারের কোনো সদস্যই। তাই বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর