শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

  যশোরের আলো
২৮৪

সেনাবাহিনীর এই নারী গোয়েন্দা চষেছিলেন পুরো বিশ্ব

নিউজ ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বিশ্বজুড়ে নারীর অনেক ঐতিহাসিক জয়জয়কারের কাহিনী রয়েছে। অতীতে নারীর চলার পথ খুব মসৃণ ছিল না। তারা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রাম করে ইতিহাস বদলেছে। গড়েছেন নানা দৃষ্টান্ত। তেমনই দুঃসাহসিক দুই নারীর সম্পর্কে আমরা আজ জানব। 

দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের প্রসঙ্গ উঠলেই চলে আসে ক্রিস্টোফার কলম্বাস, ভাস্কো ডা গামা, লরেন্স অব অ্যারাবিয়ার নাম। পুরুষ অভিযাত্রীদের তুলনায় নারীদের নাম খুব কমই উচ্চারিত। হয়তো মনে করা হয়, নারী শুধুই চার দেয়ালে বন্দী থাকার মানুষ। 

অথচ ইতিহাসের পাতায় এমন অনেক নারী অভিযাত্রী আছেন যাদের দুঃসাহসী অভিযাত্রার কথা শুনলে তাজ্জব বনে যেতে হয়। জেনে নেয়া যাক দুঃসাহসী এই নারীর কথা- 

মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে চষে বেড়িয়েছিলেন গারট্রুড বেল। ১৮৬৮ সালে তার জন্ম। ওই সময়ে একজন নারীর পক্ষে বিভিন্ন দেশে পরিভ্রমণ খুবই কঠিন একটি কাজ ছিল। তবে বেল ছিলেন সবকিছুতেই এক অনুকরণীয়। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন বেল। ছিলেন একজন লেখক ও পুরাতাত্ত্বিক। বলা হয়ে থাকে, পুরাতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যান বেল। 

এরপরই শুরু হয় না দেখাকে চর্মচক্ষু দিয়ে দেখার নেশা। গারট্রুড বেল ফারসি ও আরবি ভাষায় দক্ষ ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিসরের কায়রোয় থাকা আরব ব্যুরোতে কাজ করতেন। 

১৯২১ সালে কায়রোয় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে রাষ্ট্র হিসেবে ইরাকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ওই কাজে বেলের অবদান এখনো স্মরণ করা হয়। নারী হিসেবে প্রথম হিসেবে পুরাতত্ত্ব, স্থাপত্য ও প্রাচ্যের বিভিন্ন ভাষা বিষয়ে মৌলিক অবদান রেখেছিলেন গারট্রুড বেল। 

প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ও কূটনৈতিক পরিষেবায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হন তিনি। সিরিয়া, মেসোপটেমিয়া, এশিয়া মাইনর ও বিস্তীর্ণ আরব অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বেল। 

এর ফলে ওই অঞ্চলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত মজবুত হয়েছিল। ইরাকের জাতীয় জাদুঘর গড়ে উঠেছিল তার প্রচেষ্টায়। বিভিন্ন অঞ্চলের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন সেসব দেশেই সংরক্ষণের বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন গারট্রুড বেল

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর