শনিবার   ১৮ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১   ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন ২-৩ বছরের মধ্যে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন ডলার সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সম্ভাবনা নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে মেয়েরা এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
৪৬৫

রেললাইন নির্মাণকাজে পাল্টে যাচ্ছে রূপদিয়ার চিত্র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন ঢাকা-যশোর ব্রডগেজ রেলপথ প্রকল্পের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে। এই প্রকল্পের সুবাদে রূপদিয়া অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

যশোরের রূপদিয়া স্টেশন অত্যন্ত প্রাচীন। এটি চালু হয় ১৮৮৪ সালে। স্টেশনটি ভেঙে ফেলেছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ। নির্মাণাধীন ঢাকা-যশোর রেলপথ এই স্টেশনে মিলিত হবে। সে কারণে এখানেই তৈরি হচ্ছে নতুন দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে স্টেশন। 
 
বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ ১৪টি নতুন স্টেশন নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পের যশোর অংশে রেললাইন নির্মাণ হচ্ছে রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত। এরই মধ্যে স্টেশন এলাকায় তিনটি পাশাপাশি রেললাইন নির্মাণ কাজ চলমান।

ঢাকা এবং যশোরের সঙ্গে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপনের নির্মাণ কাজ একই সঙ্গে শুরু হয়ে ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে মোট ১৭টি রেলওয়ে স্টেশন পার করে পদ্মবিলা জংশন রেলওয়ে স্টেশন হয়ে রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-যশোর রেলপথ চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে রূপদিয়া থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে। রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে কম্পিউটার বেজড সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হবে। পণ্যবাহী ট্রেনগুলো রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে আনলোড হবে। রূপদিয়া থেকে জামদিয়া, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী, মহেশপুর, মুকসুদপুর, নগরকান্দা, ভাঙা, শিবচর, জাজিরা, মাওয়া, শ্রীনগর, নিমতলি, কেরানীগঞ্জ, গেন্ডারিয়া, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ খুলনাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। যেকোন ভারী পণ্য আমদানি ও রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগিয়ে নতুন আয়ের উৎস পাবে রূপদিয়াবাসী।

এ বিষয়ে রূপদিয়া শহীদস্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর বলেন, পদ্মা সেতু রেলপথ প্রকল্পের কল্যাণে এ অঞ্চলে উৎপাদিত সকল কৃষি ও শিল্পপণ্য পরিবহন, বিপণন সহজ হবে। ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্য সমৃদ্ধ হবে, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন কলকারখানা চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও, স্থানীয়রা উন্নততর স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য খুব সহজেই রাজধানী ঢাকা যেতে পারবেন। এ অঞ্চলের গার্মেন্টস ও প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা কমমূল্যে এসব পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ ও বিক্রি করতে পারবেন।

নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাস বলেন, ‘রূপদিয়ার যেদিকে তাকাই সেদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চোখে পড়ে। এ সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ভালো আছে। রেললাইন আর স্টেশন নির্মাণের পর রেল চলাচল চালু হলে রূপদিয়াবাসীর ভাগ্যে উন্নয়ন ঘটবে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল লাইন নির্মাণসহ এই প্রকল্পে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে ১৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা, বাকি ২১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে চীন। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হলেও রেলখাতের বৃহৎ এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর