শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

  যশোরের আলো
সর্বশেষ:
দেশে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসছেন কাতারের আমির যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান
৮২

চার উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশের যুবারা

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রবি বিষ্ণুইয়ের লেগ স্পিনে ধুঁকছে বাংলাদেশ। ২৫ বলের মধ্যে চার উইকেট নিয়ে ভারতকে ম্যাচ ফিরিয়েছেন বিষ্ণুই।

সেমিফাইনালে দুর্দান্ত এক শতকে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন মাহমুদুল হাসান। কিন্তু শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। রবি বিষ্ণুইয়ের বলে বোল্ড হন মাত্র ৮ রান করে, ১২ বল খেলেন মাহমুদুল।

এই উইকেট হারানোর পর আরো দুইটি ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ হোসেন ২৫ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হলে। দশম ওভারে আকাশ সিংয়ের বলে পায়ে চোট পান তিনি, মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কয়েক ওভার খেললেও মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

এরপর ব্যক্তিগত শূন্যরানে বিষ্ণুইয়ের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান শূন্য রানে। আবার শাহাদাত হোসেন ১ রান করে ওই বিষ্ণুইয়ের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে বাংলাদেশকে কঠিন বিপদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছে।

বর্তমানে ১৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭০ রান, জেতার জন্য আরো প্রয়োজন ১০৮ রান।

এর আগে তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ১৩ রান সংগ্রহে তানজিদ দুটি চার মারেন। পরের ওভারে একটি বাউন্ডারি মারেন পারভেজ। দুজনের জুটি ৫০ ছুঁতেই ভেঙে গেছে। ২৫ বলে ১৭ রান করে রবি বিশনয়ের বলে কার্তিক ত্যাগীর ক্যাচ হন তানজিদ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছয় মেরে দলীয় স্কোর পঞ্চাশে নেন তিনি।

সকালে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। সতর্ক শুরু করে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। সপ্তম ওভারে দিব্যাংশ সাক্সেনাকে (২) ফেরান অভিষেক দাস। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ভারতীয় ওপেনারের ক্যাচ নেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এরপর যশস্বী জয়সাওয়াল ও তিলক ভার্মা ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন। তাদের ৯৪ রানের শক্ত জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। তার বলে ৩৮ রানে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ হন তিলক। অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৭ রানে তানজিদ হাসানের ক্যাচ হন, উইকেটটি নেন রাকিবুল হাসান।

ভারতকে অল্প রানে আটকে রাখতে বড় ভূমিকা শরিফুলের। ৪০তম ওভারের পঞ্চম বলে জয়সাওয়ালের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। ৮৯ বলে ফিফটি করা ওপেনার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু শরিফুলের স্লোয়ারে শর্ট মিডউইকেটে তানজিদের সহজ ক্যাচ হন। ১২১ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৮৮ রানে থামেন জয়সাওয়াল। পরের বলে সিদ্ধেশ বীরকেও এলবিডাব্লিউ করেন বাঁহাতি পেসার।

এই ধাক্কায় ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। টানা দুই ওভারে দুটি রান আউট হয়। ৪৩তম ওভারে রাকিবুলকে পয়েন্টে মেরেছিলেন ধ্রুব জুরেল। রান নেওয়ার জন্য তিনি দৌড়ালেও নন স্ট্রাইকে থাকা অথর্ব আনকোলেকার দৌড়াননি। তাতে দুজনই একপ্রান্তে ছিলেন, আর স্ট্রাইকিং প্রান্তে শামীম হোসেনের থ্রোয়ে উইকেটকিপার আকবর স্টাম্প ভাঙেন। তাতে সেট ব্যাটসম্যান জুরেল ২২ রানে আউট হন। কে আউট হয়েছেন, সেটা জানতে থার্ড আম্পায়ারের বেশ সময় লাগে। পরের ওভারে রবি বিশনয়কে (২) রান আউট করেন শরিফুল।

অভিষেক পরের ওভারের প্রথম ও শেষ বলে দুটি উইকেট নেন। বোল্ড হন আনকোলেকার (৩)। কার্তিক ত্যাগী রানের খাতা না খুলে আকবরের গ্লাভসে ধরা পড়েন। উইকেট হারানোর মিছিল কিছুক্ষণের জন্য থেমেছিল আকাশ সিংয়ের সঙ্গে সুশান্ত মিশ্রের জুটিতে। অবশ্য ৫ রানের বেশি তারা যোগ করতে পারেননি। ৪৮তম ওভারে সাকিবের দ্বিতীয় বলে ডিপ থার্ড ম্যানে সুশান্তের (৩) দারুণ ক্যাচ ধরেন শরিফুল। তাতে ২০০ রানের অনেক আগেই গুটিয়ে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।

বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি করে পান সাকিব ও শরিফুল।

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর