রোববার   ১৯ মে ২০২৪   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১   ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

  যশোরের আলো
২৬৪৫

বর্ণপরিচয় আর ছড়া দিয়ে বিজেপিকে তৃণমূলের আক্রমণ

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০১৯  

অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আ-এ আমটি খাব পেড়ে। কিন্তু যদি লেখা থাকে অ-এ অমিত শাহ আসছে তেড়ে, আ-এ আচ্ছে দিন গেল ছেড়ে। গুলিয়ে যাচ্ছে বর্ণপরিচয়টা। সেই শিশুবেলায় শেখা বর্ণপরিচয়টা বদলে গেল না কি? হ্যাঁ, বদলই ঘটেছে বর্ণপরিচয়ের। অবাক হবেন না, কারণ ভোটের আবহে বিরোধী গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণে বর্ণপরিচয়-ই ব্রহ্মাস্ত্র তৃণমূলের। তাই এমন বদল ঘটেছে তার।

১৮৫৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাঙালির বর্ণপরিচয় ঘটিয়েছিলেন। যা একজন শিশুর অক্ষরজ্ঞানের প্রথম পাঠ। কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূল সেই বর্ণপরিচয়কেই হাতিয়ার করেছে। তবে, একটু অন্যরকম এই বর্ণপরিচয়। বিজেপি সরকার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেই বর্ণপরিচয়ের প্যারোডি করা হয়েছে। অ থেকে ঔ পর্যন্ত ১২টি বর্ণের মাধ্যমে বারোরকম খোঁচা দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। উ-এ উমা ভারতী ব্যপমে দোলে, ঊ-এ ঊনিশে বিজেপি যাবে বলে, ও-এ ওএনজিসি-র দুর্নীতি ভাবায় আর ঔ-এ ঔষধ আছে গরুর চোনায়। রাফালে দুর্নীতি, ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে মালিয়ার বিদেশে পালানো, ইভিএম কেলেঙ্কারি সবই ১২টি স্বরবর্ণে প্রকাশ করা হয়েছে।  

দেওয়াল লিখন থেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়েছে সেই সব ছড়া। লেখা হয়েছে, ‘আতাগাছে তোতা পাখি, ডালিম গাছে মউ, মিথ্যেবাদী বিজেপিকে ভোট দেবে না কেউ’। ভোটের রণে এমনই কত ছড়া এবারের প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে, বর্ণপরিচয়ের অনুকরণ সম্ভবত এবাবের ভোট উৎসবে এক্কেবারে অন্যরকম ভাবনা। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মীর কথায়, 'ছড়া লিখতে পারে, প্যারোডি করতে পারে এমন ছেলেমেয়েদেরই বাছাই করা হয়েছে। তাঁরা ভাবনাচিন্তা করে এইসব ছড়া, প্যারোডি লিখছে। উদ্ভাবনী শক্তির পরিস্ফুটন ঘটাচ্ছেন তাঁরা।' তৃণমূল নেতাকর্মীদের অনেকেরই ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে নয়া বর্ণপরিচয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সাদ্দামের হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসেও শুক্রবারই দেখা গিয়েছে ভোটের বর্ণপরিচয়।  যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার তরজা। 

ছন্দ বা ছড়া কেটে প্রচারের রীতি অনেক দিনেরই পুরনো। কিন্তু নতুন কিছু ভোটের বাজারে আমদানি না করতে পারলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরকাড়া যাবে না। তাই নয়া কিছু নতুন উদ্ভাবন করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আবার এই নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়ছে না তৃণমূলকে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বর্ণপরিচয়কে নিয়ে এইভাবে রাজনীতি করা উচিত নয় বলে দাবি তাঁদের।
সূত্র: নিউজ ডগ শেয়ার

  যশোরের আলো
  যশোরের আলো
এই বিভাগের আরো খবর